East Bengal FC CFL News: চলতি কলকাতা ফুটবল লিগে (CFL 2025-26) ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) পারফরম্য়ান্স নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কাস্টমসের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করার পর মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পাঠচক্রের বিরুদ্ধেও তারা ১-০ গোলে হেরে গিয়েছে। এই ভরাডুবির পর খুব স্বাভাবিকভাবে বিনো জর্জের দলের উপর ক্ষোভ বাড়ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। আর এবার সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
বিয়ন্ড স্পোর্টসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, 'ইস্টবেঙ্গলের ভিতটা ইতিমধ্যেই নড়িয়ে দিয়েছি। তবে এই কৃতিত্ব আমার নয়, এটা সুরুচি সংঘ ক্লাবের। সুরুচি সংঘই ইস্টবেঙ্গলের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে। আগে ইস্টবেঙ্গলকে সবাই ভয় খুব পেত। এখন আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান এই তিনটে দল কলকাতা ফুটবল লিগে শুধুমাত্র রংয়ের দৌলতেই বেঁচে রয়েছে।' এই মন্তব্য কলকাতা ফুটবল লিগে যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন ঘর ভাঙল ইস্টবেঙ্গলের, শত্রু শিবিরে যোগ দিলেন তারকা ফুটবলার
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'আমি আইএসএল টুর্নামেন্টের কথা বলব না। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তারা অবশ্যই অনেক বড় দল। কিন্তু, কলকাতা ফুটবল লিগে তারা যে দল নামাচ্ছে, সেটা একেবারেই কাম্য নয়। আগামীদিনে এমন ফলাফল আরও দেখতে পাওয়া যাবে। আমি ১০ জনের দল নিয়ে খেলেছি বলে ওদের হারাতে পারিনি। সঙ্গে বেশ কয়েকটা গোলও আমরা মিস করেছিলাম। কিন্তু, পাঠচক্র সেই কাজটা করে দেখিয়ে দিয়েছে। এই ইঙ্গিতটা আমি আগেই দিয়ে রেখেছিলাম।'
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, মঙ্গলবার ব্য়ারাকপুর স্টেডিয়ামে পাঠচক্র বনাম ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্য়াচে লাল-হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার যথেষ্ট অভাব দেখতে পাওয়া যায়। সেকারণে তারা একাধিক গোলের সুযোগ মিস করেছে। পাশাপাশি দলের রক্ষণভাগেও ছিল একাধিক ফাঁকফোকড়। আর সেই সুযোগেই ম্য়াচের একেবারে শেষবেলায় ডেভিড পাঠচক্রের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। প্রসঙ্গত, এবারের কলকাতা ফুটবল লিগে পাঠচক্র এখনও পর্যন্ত একটাও ম্য়াচ হারেনি। চারটের মধ্যে চারটেই তারা জিতেছে। সেকারণে লিগ টেবিলের পয়েন্ট তালিকাতেও তারা শীর্ষে রয়েছে।
আরও পড়ুন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে ইস্টবেঙ্গলে জয় গুপ্তা, টাকার অঙ্ক জানলে মাথা ঘুরবে!
আগামী ১৯ তারিখ রয়েছে বহু প্রতীক্ষিত মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। ইতিমধ্যে এই ম্য়াচের উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলের এই পরাজয় যে অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। অন্যদিকে, বুধবার (১৬ জুলাই) কালীঘাটের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মোহনবাগান। ডার্বির আগে ডেগি কার্ডোজোর দল এই ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে আনতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার।
East Bengal FC: 'ইস্টবেঙ্গলকে যে কেউ বাজিয়ে চলে যাবে!', লাল-হলুদ শিবিরকে ভয়ঙ্কর আক্রমণ সুরুচি কোচের
East Bengal vs Pathachakra: মঙ্গলবার ব্য়ারাকপুর স্টেডিয়ামে পাঠচক্র বনাম ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্য়াচে লাল-হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার যথেষ্ট অভাব দেখতে পাওয়া যায়।
East Bengal vs Pathachakra: মঙ্গলবার ব্য়ারাকপুর স্টেডিয়ামে পাঠচক্র বনাম ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্য়াচে লাল-হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার যথেষ্ট অভাব দেখতে পাওয়া যায়।
East Bengal CFL: কলকাতা লিগে দুঃসময় অব্যাহত ইস্টবেঙ্গলের
East Bengal FC CFL News: চলতি কলকাতা ফুটবল লিগে (CFL 2025-26) ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) পারফরম্য়ান্স নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কাস্টমসের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করার পর মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) পাঠচক্রের বিরুদ্ধেও তারা ১-০ গোলে হেরে গিয়েছে। এই ভরাডুবির পর খুব স্বাভাবিকভাবে বিনো জর্জের দলের উপর ক্ষোভ বাড়ছে লাল-হলুদ সমর্থকদের। আর এবার সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিলেন সুরুচি সংঘের (Suruchi Sangha) কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
বিয়ন্ড স্পোর্টসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রঞ্জন ভট্টাচার্য বললেন, 'ইস্টবেঙ্গলের ভিতটা ইতিমধ্যেই নড়িয়ে দিয়েছি। তবে এই কৃতিত্ব আমার নয়, এটা সুরুচি সংঘ ক্লাবের। সুরুচি সংঘই ইস্টবেঙ্গলের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে। আগে ইস্টবেঙ্গলকে সবাই ভয় খুব পেত। এখন আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান এই তিনটে দল কলকাতা ফুটবল লিগে শুধুমাত্র রংয়ের দৌলতেই বেঁচে রয়েছে।' এই মন্তব্য কলকাতা ফুটবল লিগে যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন ঘর ভাঙল ইস্টবেঙ্গলের, শত্রু শিবিরে যোগ দিলেন তারকা ফুটবলার
সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'আমি আইএসএল টুর্নামেন্টের কথা বলব না। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তারা অবশ্যই অনেক বড় দল। কিন্তু, কলকাতা ফুটবল লিগে তারা যে দল নামাচ্ছে, সেটা একেবারেই কাম্য নয়। আগামীদিনে এমন ফলাফল আরও দেখতে পাওয়া যাবে। আমি ১০ জনের দল নিয়ে খেলেছি বলে ওদের হারাতে পারিনি। সঙ্গে বেশ কয়েকটা গোলও আমরা মিস করেছিলাম। কিন্তু, পাঠচক্র সেই কাজটা করে দেখিয়ে দিয়েছে। এই ইঙ্গিতটা আমি আগেই দিয়ে রেখেছিলাম।'
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, মঙ্গলবার ব্য়ারাকপুর স্টেডিয়ামে পাঠচক্র বনাম ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। এই ম্য়াচে লাল-হলুদ ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার যথেষ্ট অভাব দেখতে পাওয়া যায়। সেকারণে তারা একাধিক গোলের সুযোগ মিস করেছে। পাশাপাশি দলের রক্ষণভাগেও ছিল একাধিক ফাঁকফোকড়। আর সেই সুযোগেই ম্য়াচের একেবারে শেষবেলায় ডেভিড পাঠচক্রের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন। প্রসঙ্গত, এবারের কলকাতা ফুটবল লিগে পাঠচক্র এখনও পর্যন্ত একটাও ম্য়াচ হারেনি। চারটের মধ্যে চারটেই তারা জিতেছে। সেকারণে লিগ টেবিলের পয়েন্ট তালিকাতেও তারা শীর্ষে রয়েছে।
আরও পড়ুন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে ইস্টবেঙ্গলে জয় গুপ্তা, টাকার অঙ্ক জানলে মাথা ঘুরবে!
আগামী ১৯ তারিখ রয়েছে বহু প্রতীক্ষিত মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। ইতিমধ্যে এই ম্য়াচের উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলের এই পরাজয় যে অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। অন্যদিকে, বুধবার (১৬ জুলাই) কালীঘাটের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মোহনবাগান। ডার্বির আগে ডেগি কার্ডোজোর দল এই ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে আনতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার।