নিজের কেরিয়ারে বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন, তবে থাইরয়েড ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে আর পারলেন না। চলে যেতে হল কিংবদন্তি ইংরেজ ক্রিকেটার বব উইলিসকে। ৭০ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন।
বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার ধরা হয় তাঁকে। সত্তরের দশকে অস্ট্রেলীয় ও ক্যারিবিয়ান পেসারদের পালটা হিসেবে তাঁকে হাজির করে ইংল্যান্ড। সাড়ে ছ-ফুটেরও বেশি তারকা ইংরেজ পেসার লম্বা রান আপে বল করতেন। বুকে কাঁপুনি ধরত ব্যাটসম্যানের। ছন্দময় দৌড়ের মতোই অ্যাকশন। ক্রিকেট প্রেমীদের নস্ট্যালজিয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া সেই বব উইলিসকেই হারিয়ে ফেলল ক্রিকেট বিশ্ব।
আরও পড়ুন ‘সৈনিক’ ধোনিকে তীব্র অপমান বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড ক্রিকেটারের, ঝড় ক্রিকেট বিশ্বে
১৯৭১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে আহত অ্যালান ওয়ার্ডের জায়গায়। তারপর ১৩ বছর ধরে ইংল্যান্ডের পেস বোলিংয়ের নেতা ছিলেন। ৯০ টেস্টের পরে যখন খেলা ছাড়েন, তখন তাঁর নামের পাশে ৩২৫ উইকেট। সেই সময় তিনিই ছিলেন ইতিহাসের সফলতম টেস্ট বোলার। পরবর্তীকালে অবশ্য মাত্র তিনজন বোলার বব উইলিসকে ছাপিয়ে যাবেন- জেমস অ্যান্ডারসন (৫৭৫), স্টুয়ার্ট ব্রড (৪৭১) এবং ইয়ান বোথাম (৩৮৩)।
We're very sad to hear of the passing of MCC Honorary Life Member, Bob Willis.
A Lord's legend & former England captain whose name is on the Honours Boards three times.
Our thoughts are with his friends and family. pic.twitter.com/KgyQbHdYqq
— Lord's Cricket Ground (@HomeOfCricket) December 4, 2019
উইলিসের কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত অবশ্যই ১৯৮১-এর অ্যাসেজের হেডিংলে টেস্ট। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে আলোচনা করা হয় সেই টেস্ট। ফলো অন হজম করে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসেও গাড্ডায় পড়েছিল। তবে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বোথামের আক্রমণাত্মক ১৪৮ বলে ১৪৯ রানের ইনিংস ম্যাচে ফিরিয়ে আনে ইংরেজদের। তারপর বল হাতে ভেলকি দেখান উইলিস। ৪৩ রানে ৮জন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানকে ফেরত পাঠিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন বিশ্বকাপের আগেই ডোপ টেস্টে ব্যর্থ তারকা ক্রিকেটার, অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড বোর্ড
ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি ইংল্যান্ডকে ১৮টি টেস্ট ও ২৯টি ওয়ান ডে-তেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বব উইলিস। ১৯৭৯ ও ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপেও অংশ নিয়েছেন দেশের জার্সিতে। ভারত যেবার বিশ্বকাপ জেতে, সেবার ইংল্য়ান্ডের নেতা ছিলেন উইলিসই। ৬৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৮০টি।
বব উইলিস অবশ্য বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রত্যাবর্তনের নায়ক হিসেবেও স্মরণীয় থেকে যাবেন। ১৯৭৫ সালে কেরিয়ার শুরুর মুখেই উইলিসের দু-পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়। সেই আঘাত সামলেও আরও সাত বছর তিনি দেশের জার্সিতে খেলে গিয়েছিলেন। মিরাকল না তো কী!
Read the full article in ENGLISH