বারকয়েক মুশফিকুর রহিমকে ব্যাখ্যা করতে হয়েছে, তিনি কেন পাকিস্তান যাচ্ছেন না! তিনি আগেই পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে নিজের অপারগতার কথা জানিয়েছিলেন। এর কারণ হিসেবে তিনি পরিবারের কথা উল্লেখ করেছেন। মুশফিকের পরিবার পাকিস্তান সফর নিয়ে ভয় পাচ্ছে। তারা সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ‘জীবনের চেয়ে ক্রিকেট বড় নয়’-এমন কথাও সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন মুশফিকুর।
তিন দফায় পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। তবে একবারও মুশফিকুর দলের সঙ্গে যাবেন না। মুশফিকের আপন ‘ভায়রাভাই’ মাহমুদউল্লাহ। তিনি আবার বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কও। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তারপর থেকেই বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টির আর্মব্যান্ড মাহমুদউল্লাহর কাঁধে। তাঁর নেতৃত্বেই পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন কার্তিককে সরিয়ে কি কেকেআরে নেতা বদল! মুখ খুলল নাইট রাইডার্স
মুশফিকের পরিবারের তরফে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে মত ছিল না। যেহেতু পারিবারিক সূত্রে দুই তারকা আবদ্ধ। তাহলে মাহমুদউল্লাহর জন্য পাকিস্তান সফরে 'হ্যাঁ' বলা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? পাকিস্তান সফরপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে এই বিষয়ে।
তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জন্যও অতটা সহজ ছিল না, "শুরুতে একটু কঠিন ছিল বিষয়টি। আমার পরিবারও চিন্তিত ছিল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর ওঁরা রাজি হয়েছেন। এদিক থেকে কিছুটা স্বস্তি। পরিবার হয়তো অতটা উদ্বিগ্ন থাকবে না। আমাদের সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে মুশির (মুশফিক) সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। পরিবার নিয়ে ভাবনা থাকে সব সময়ই। পরিবারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না। মুশির সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকবে আমার।"
আরও পড়ুন ধাক্কায় ফের কেকেআর! তারকাকে আইপিএলে না খেলার পরামর্শ
বুধবার রাতে বাংলাদেশের জাতীয় দলের লাহোরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। সেখানে পৌঁছে তামিম-সৌম্যদের অনুশীলন করার খুব একটা সুযোগ হবে না। ২৪ জানুয়ারি ময়দানি লড়াইয়ে নামতে হবে। তাই পাকিস্তানের নিরাপত্তা নয় বরং খেলা নিয়ে বেশি ভাবছেন মাহমুদউল্লাহ, "এই মুহূর্তে বলতে পারি, এটা নিয়ে কেউ চিন্তিত নয়। সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে, শুধু খেলার কথাই চিন্তা করছি। ওখানে কীভাবে ভাল করব, জিতব, সেটা নিয়েই ভাবছি।"
মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে ভারত সফরে গিয়ে দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতেছিল বাংলাদেশ। সে কারণে তাঁর ওপর প্রত্যাশাটা একটু বেশিই থাকছে। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকেও হারানো সম্ভব! যদিও টি-টোয়েন্টির র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান এক নম্বরে রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান নয়ে। তবে নিকট অতীতে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স একেবারেই পাতে দেওয়ার মতো নয়।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তারা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। সেদিক থেকে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও এগিয়ে। মাহমুদউল্লাহ বলছেন, "র্যাংকিং বলছে আমরা নয়ে, ওরা একে। ওরা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ধারাবাহিক ভাল খেলেছে। আমরা যেভাবে খেলছি, গত সিরিজে কিংবা সাম্প্রতিক কয়েকটা সিরিজে, আশাবাদী সেরাটা দিতে পারব। সিরিজ জেতারই চেষ্টা করব।"