East Bengal FC: মামনি দাস। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলবেলার আগে এই নামটা অনেকের কাছেই হয়ত অজানা ছিল। বনগাঁর এই মেয়েটির চোখে ছিল ফুটবল খেলার স্বপ্ন! আর সেই স্বপ্নের ডানায় ভর করেই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ কন্যাশ্রী কাপের (Kanyashree Cup) ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল যে জয়লাভ করেছে, তার পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে এই মামনিরই।
East Bengal wins Kanyashree Cup: ফের জ্বলে উঠল মশাল, কন্যাশ্রী কাপে দুরন্ত জয় ইস্টবেঙ্গলের
২০২৫ কন্যাশ্রী কাপের ফাইনালে শ্রীভূমি এফসি-র মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল। ম্যাচের প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে পাওয়া গেলেও কোনও দলই গোল করতে পারেনি। অবশেষে ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই একটি করে গোল করেছিল। আর সেকারণেই ম্য়াচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর এখানেই নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেছে মামনি। শ্রীভূমির দুটো নিশ্চিত গোল তিনি বাঁচিয়ে দেন। এই পারফরম্য়ান্সের পরই মামনির জয়জয়কার শুরু হয়ে গিয়েছে।
East Bengal wins Kanyashree Cup: ফের জ্বলে উঠল মশাল, কন্যাশ্রী কাপে দুরন্ত জয় ইস্টবেঙ্গলের
বনগাঁর চাঁদপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা মামনি। আর পাঁচজন সাধারণ মহিলার মতো স্বচ্ছ্বল জীবনযাত্রা নয় মামনির। বাবা পেশায় মাছ বিক্রেতা। সেকারণে ছোটবেলা থেকেই আর্থিক-অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু, এই অভাবের কোনও ছাপ অবশ্য মেয়ের ফুটবল কেরিয়ারে পড়তে দেননি মামনির বাবা। ছোটবেলায় অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে ভালবাসত মামনি। কিন্তু, পরবর্তীকালে গোলকিপার হিসেবেই নিজের কেরিয়ার বেছে নেয় সে।
East Bengal Transfer News: কাড়তে পারেন বিপক্ষের ঘুম, এই তারকা ডিফেন্ডারকে টার্গেট করছে ইস্টবেঙ্গল!
বনগাঁর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে মামনির পক্ষ কলকাতায় ফুটবল খেলাটা একেবারেই সহজ ছিল না। কিন্তু, শাহরুখ খানের ওই একটি জনপ্রিয় ডায়লগ আছে না! কোনও জিনিসকে যদি সত্যিই মন থেকে চাওয়া হয়, তাহলে গোটা বিশ্ব সেটাকে তোমার সামনে এনে হাজির করবে। মামনির জন্য এই ডায়লগটা একদম পারফেক্ট বলা যেতেই পারে। ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ভক্ত। ভাল লাগে লাল-হলুদ গোলকিপার প্রভসুখন গিলের খেলা দেখতেও। ভবিষ্যতে নিজেকে ভারতীয় ফুটবল দলে দেখতে চায় বনগাঁর এই ছোট্ট মেয়েটি।
East Bengal New Footballer Update: চলছে দড়ি টানাটানি, এই ফুটবলারের জন্যই ঝাঁপাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান
কন্যাশ্রী কাপের খেতাব জয়ের পর মামনি বলেছে, 'সবসময়ই একটা ইতিবাচক মানসিকতা ছিল। জানতাম যে আমাকে সেভ করতে হবে। এই পারফরম্য়ান্সটা আমি পরিবারকেই উৎসর্গ করতে চাই। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মা আমাকে অনেকটা সাপোর্ট করেছে। বলেছে, তুই খেলে যা, বাকিটা আমরা সামলে নেব। এর থেকে বড় সাপোর্ট আর কীই বা হতে পারে।'