East Bengal FC: ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দল আপাতত স্বপ্নের জগতে বিচরণ করছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) কন্যাশ্রী কাপ (Kanyashree Cup) ফাইনালে স্বভূমি এফসি'কে কার্যত তারা উড়িয়ে দিয়েছে। এই ম্য়াচে নির্ধারিত সময়ে দুটো দলই একটি করে গোল করেছিল। অবশেষে টাইব্রেকারে এই ম্য়াচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। শেষপর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ৪-২ গোলে জয়লাভ করেছে।
East Bengal Transfer News: বিরাট চমক ইস্টবেঙ্গলের, রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে খেলা তারকা ফুটবলার লাল-হলুদে!
ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবল দল যে কার্যত ইতিহাস কায়েম করেছে, তা বলা যেতেই পারে। একই মরশুমে তারা জোড়া খেতাব জয় করল। ইতিপূর্বে ভারতীয় মহিলা লিগের খেতাব জয় করেছিল ইস্টবেঙ্গল। আর এবার জিতল কলকাতা মহিলা ফুটবল লিগের খেতাব। এই টুর্নামেন্টই আসলে কন্যাশ্রী কাপ নামে পরিচিত।
East Bengal New Footballer Update: চলছে দড়ি টানাটানি, এই ফুটবলারের জন্যই ঝাঁপাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান
যাইহোক, এবার ম্য়াচের কথায় আসা যাক। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে এই ফাইনাল ম্য়াচ আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। অবশেষে ৪৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে লিড এনে দেন সুলঞ্জনা রাউল। যদিও এই আনন্দের মুহূর্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্বভূমি সেই গোল পরিশোধ করে দেয়। ফাইনাল ম্য়াচে দুই দলই নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করে। এরপর ম্য়াচ গড়ায় টাইব্রেকারে। এই টাইব্রেকারে দুর্দান্ত পারফরম্য়ান্স করলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার মামনি দাস। কার্যত তাঁর নজরকাড়া সেভের কারণেই এই খেতাব জিততে পেরেছে লাল হলুদ ব্রিগেড।
East Bengal vs Mohun Bagan: 'গরিব' বলেই বার বার ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল? 'ধনী' মোহনবাগানের তুলনা টেনে বিস্ফোরক অ্যালভিটো
তবে একথা বলে রাখা আবশ্যক যে টাইব্রেকারের শুরুটা কিন্তু ইস্টবেঙ্গল একেবারেই ভাল করতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম শটটা নিয়েছিলেন দলের পরিবর্ত ফুটবলার সুস্মিতা বর্ধন। কিন্তু, তিনি গোল করতে পারেননি। এই ব্যর্থতার পর মশালবাহিনী যথেষ্টই চাপে পড়ে গিয়েছিল। তবে আসল খেলা দেখান গোলকিপার মামনি। শ্রীভূমির প্রথম শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে তিনি আটকে দেন। আর সেইসঙ্গে ম্য়াচে ফেরে ইস্টবেঙ্গল।
East Bengal Transfer News: কাড়তে পারেন বিপক্ষের ঘুম, এই তারকা ডিফেন্ডারকে টার্গেট করছে ইস্টবেঙ্গল!
এরপর তো বাকিটা ইতিহাস। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। সুলঞ্জনা রাউল টাইব্রেকারে পঞ্চম শটে গোল করতেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা কার্যত আত্মহারা হয়ে যান। সকলেই আনন্দে একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে শুরু করেন। একটা দিকে পুরুষ দল যখন ক্রমাগত ব্যর্থতা এবং সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মহিলা দলের এই সাফল্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করবেন, তা আর বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না।