দিন কয়েক আগেই কলকাতায় ঘুরে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসির প্রাক্তন সতীর্থ হাভিয়ের সাবিওলা। মেসির ফের জাতীয় দলের ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন তিনি। কিন্তু এলএম টেন আর্জেন্তিনার জার্সিতে আদৌ ফিরবেন কি না তাই নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর মেসি অবসর নেবেন বলেই শোনা গিয়েছিল। বিশ্বকাপের পর একটিও আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্তিনার জার্সিতে দেখা যায়নি এলএম টেনকে। ২০১৬ সালে কোপা অ্যামেরিকার শতবর্ষের আসর ছিল। ফাইনালে আর্জেন্তিনা ব্যর্থ হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বুট জোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেসি। যদিও সেবার অবসর ভেঙে নীল-সাদা জার্সিতে ফিরেছিলেন মেসি। এসবের মধ্যেই আবার মেসির প্রাক্তন কোচ ও আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি মারাদোনা তাঁকে দেশের জার্সিতে না-ফেরারাই পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ম্যানেজার মারাদোনার ম্যাজিকাল শুরু মেক্সিকোতে
আর্জেন্তিনার অস্থায়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি বললেন, “দিন দশেক আগে মেসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারপরেই আমরা ওকে না-ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” জানা গিয়েছে যে, মেসি আর্জেন্তিনার ফুটবল সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, চলতি বছরের বাকি সময়ের জন্যও যেন তাঁর কথা না-ভাবা হয়। ফলে সেভাবেই স্কালোনি দল গঠন করছেন।
অন্যদিকে মেসির পাশে দাঁড়িয়েছেন মারাদোনা। তিনি জানিয়েছেন, “আমি মেসিকে আর কী বলব? ও অবসর নিয়ে নিক। আর যেন ফিরে না আসে। দেখি ওকে ছাড়া আর্জেন্তিনা কেমন চাপ সামলাতে পারে। ওখানে কি আদৌ কোনও বড়মাপের পুরুষ আছে! আমরা সবেতে মেসিকে দোষ দিই। অনূর্ধ্ব-১৫ দল হারলেও মেসির দোষ, আর্জেন্তিনা লিগে রেসিংয়ের বিরুদ্ধে বোকা জুনিয়র্সের খেলা পড়লেও মেসিই দায়ী। আমরা সবের জন্য ওকে দোষী করি। এটা ঠিক আমাদের ওর ওপর অনেক আশা রয়েছে। কিন্তু রেসট্র্যাকে ঘোড়া নামে জেতার জন্য়ই। কিন্তু আট নম্বরে শেষ করলে কিছু করার নেই।”