নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বল হাতে একেবারেই ব্যর্থ। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তবে জসপ্রীত বুমরাকে একদমই চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। এই কারণে জসপ্রীত বুমরা এবার সরাসরি সমালোচকদের নিশানায়। প্রতিদিনই বুমরাকে নিয়ে অল্পবিস্তর কথা ভেসে আসছে। এই কারণে এবার মহম্মদ শামি সরাসরি সতীর্থের পাশে দাঁড়ালেন।
জানিয়ে দিলেন, "কয়েকটা খারাপ ম্যাচের পরেই কেউ কী করে এভাবে বুমরাকে নিয়ে বলতে পারে! লোকে সহজেই ভুলে যায় ও কত ম্যাচ একার হাতে দলকে জিতিয়েছে!" সমালোচকদের একহাত নিয়ে শামি আরও বলেছেন, "ও কয়েকটা ম্যাচে পারফর্ম করতে পারেননি বলে কী করে ওর ম্যাচে জেতানোর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।"
সঙ্গে শামির সংযোজন, "বুমরা দলের জন্য কী করেছে, সেটা এত সহজে ভুলে যাওয়া কীভাবে সম্ভব। যদি পজিটিভ বিষয় ধরা হয়, তাহলে তা বরং ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে কাজে আসবে।"
আরও পড়ুন নতুন লোগো প্রকাশেও স্বস্তি নেই! কোহলিদের ‘আক্রমণ’ পলাতক বসের
হঠাৎ করে ফর্ম হারালে কীভাবে সমালোচনার নখ দন্ত ফুটে ওঠে, তা দেখেই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছেন তারকা পেসার। শামি জানাচ্ছেন, "লোকেরা সবসময় ভুলভাবে চিন্তা করে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে কেউ খারাপ পারফরম্যান্স করলেই সেই ব্যক্তির সম্পর্কে সমালোচকদের ধারণা পালটে যায়। আমাদের দিক থেকে তাই বেশি চিন্তা করা উচিতই নয়।"
চোট সারিয়ে ফিরে আসার পরে জসপ্রীত বুমরা এখনও সেরা ছন্দে ফিরতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তারপর কিউয়িদের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে খেলার পরে ওয়ানডেতেও খেলেছিলেন।
আরও পড়ুন কারো হাজার, কারো লাখ! আইপিএলে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির চিয়ারলিডারদের কত আয়
শোচনীয়ভাবে নিউজিল্যান্ডে ব্যর্থ হয়েছেন বুমরা। বুমরার অফ ফর্মের কারণেই প্রত্যেক ম্যাচেই ওপেনিং জুটিতে ব্ল্যাক ক্যাপসদের মার্টিন গুপ্টিল ও হেনরি নিকোলস বড় রান তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। গোটা সিরিজে কোনও উইকেটই দখল করতে পারেননি তারকা ভারতীয় স্পিডস্টার।
প্রথম দু-ম্যাচে বুমরা ১০ ওভারের কোটায় খরচ করেছিলেন যথাক্রমে ৬৪ ও ৫৩ রান। শেষ ম্যাচে ৫০ রান দিয়েছেন। একটাও উইকেট দখল করতে পারেননি। সবমিলিয়ে ৩০ ওভারে ১ মেডেন সহ বুমরা খরচ করেছেন ১৬৭ রান। যা মোটেই বুমরা-সুলভ নয়। এই কারণেই র্যাঙ্কিংয়ে ৪৫ রেটিং পয়েন্ট হারিয়ে তারকা পেসার দুই নম্বরে নেমে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন জোর ধাক্কা কিংস ইলেভেনে! সাড়ে ১০ কোটির তারকা শুরুতে নেই
তবে শামি সতীর্থের পাশেই রয়েছেন। বলে দিয়েছেন, "ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে সবসময় এমন সমস্যা হয়েই থাকে। কথা বলে অর্থ উপার্জন করা বেশ সহজ। খেলার জগতের যেকোনও কারোরই চোট হতে পারে। নেতিবাচক বিষয়ে বলার আগে পজিটিভ বিষয় নিয়ে কথা বলা উচিত। ২০১৫ সালে আমিও চোট পেয়েছিলাম। তারপরে ফিরেও এসেছি।"
Read the full article in ENGLISH