Mohun Bagan Super Giant: কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL 2025-26) শুরুটা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট একবারে ভাল করতে পারল না। প্রথম ম্য়াচে পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে তারা ০-১ গোলে হেরে গিয়েছে। তবে ইতিমধ্য়ে বাগানের তারকা ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসের (Dippendu Biswas) একটি ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করেছে। এই ভিডিওয় দীপেন্দু দাবি করেছেন, মোহনবাগান আসলে কোনও ক্লাব নয়। এটা মাতৃসম একটি প্রতিষ্ঠান। ভিডিওটি দেখার পর বাগান সমর্থকরা ইতিমধ্যে দীপেন্দুকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
Mohun Bagan Loss: প্রথম ম্য়াচেই লজ্জার হার মোহনবাগানের, হা-হুতাশ সবুজ-মেরুন সমর্থকদের
মোহনবাগান ক্লাবের ঐতিহ্য নিয়ে আর আলাদা করে কিছু বলার নেই। ১৯১১ সালে আইএফএ শিল্ড জয় থেকে ২০২৪-২৫ মরশুমের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ, মোহনবাগানের রাজত্ব একেবারে চোখে পড়ার মতো। আর এই ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়েই দীপেন্দু বললেন, 'মোহনবাগানের এই লোগোটা তোমার জার্সিতে লাগানো থাকে। এটা শুধুমাত্র একটা ক্লাব তো নয়। এটা আসলে আমাদের মায়ের সমান। সেকারণে যখনই এই জার্সিটা পরি না কেন, সেটার যোগ্য সম্মান দিতে হয়। আর সেকারণেই প্রত্যেকটা ম্য়াচে আরও ভাল করে খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ হই। দলটাকে যাতে আবারও চ্যাম্পিয়ন করা যায়, সেটাই আমার লক্ষ্য।'
দেখে নিন সেই ভিডিও
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, মোহনবাগান অ্যাকাডেমি থেকেই দীপেন্দুর উত্থান। জুনিয়র দলের হয়ে নজরকাড়া পারফরম্য়ান্সের পর সিনিয়র দলের হয়েও তিনি যারপরনাই ভাল পারফরম্য়ান্স করেন। ইতিমধ্যে সবুজ-মেরুন জার্সিতে এই তরুণ ফুটবলার একটি আইএসএল ট্রফি জয়ের পাশাপাশি ২ বার লিগ শিল্ডও জয় করেছেন। বাগানের এই সেন্টার-ব্যাক আরও বললেন, 'ছোটবেলার কথা আমার ভীষণ মনে পড়ে। বৃষ্টির দিনে কাদাভাঙা রাস্তা পেরিয়ে আমি মোহনবাগান ক্লাবে আসতাম। পিয়ারলেস, চার্চিল, কাস্টমসের বিরুদ্ধে ম্য়াচগুলো মাঠে বসে উপভোগ করতাম। তখন থেকেই এই দলের হয়ে খেলাটা আমার কাছে একটা স্বপ্ন ছিল। মোহনবাগানের জার্সিতে খেলাটা আমার কাছে যথেষ্ট সম্মানের একটা ব্যাপার।'
East Bengal vs Mohun Bagan: ISL নিয়ে বড় খবর, চরম হতাশ মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা
মোহনবাগানের পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবল দলের হয়েও খেলার সুযোগ পেয়েছেন দীপেন্দু। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, 'এটা আমার কাছে একটা স্বপ্ন ছিল। ভারতীয় ফুটবল দলের জার্সিটা যে পরতে পারব, এটা কখনও ভাবিনি। তবে আমার স্বপ্ন ছিল। অবশেষে সেই স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। জাতীয় সংগীত যখন বাজছিল, সেইসময় নিজের মধ্যে একটা আলাদা উদ্দীপনা কাজ করছিল। মনে হচ্ছিল যে ম্য়াচটা জিততেই হবে। আমার ছোটবেলার কোচও সবসময় একটাই কথা বলতেন। মাঠে নিজের ১০০ শতাংশ উজাড় করে দিতে পারলেই কেরিয়ারে উন্নতি করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যেই আমি আপাতত এগিয়ে যাচ্ছি।'