Liston Colaco vs Mohammedan SC: জোড়া গোল এবং অ্যাসিস্টে মোহনবাগানের জয়ের নায়ক লিস্টন কোলাসো
Mohun Bagan SG vs Mohammedan SC: জয় দিয়ে ডুরান্ড কাপ (Durand Cup 2025) অভিযান শুরু করল মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant)। বৃহস্পতিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মিনি ডার্বিতে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে (Mohammedan Sporting Club) ৩-১ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত যদি না প্রচুর সুযোগ নষ্ট করতেন অনিরুদ্ধ থাপা-সুহেল ভাটরা। একটাই খারাপ খবর মোহনবাগানের (Mohun Bagan) জন্য, লাল কার্ড দেখায় পরের ম্যাচ খেলতে পারবেন না মিডফিল্ডের ভরসা আপুইয়া। গ্রুপে পর পর দুই ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল সাদা-কালো ব্রিগেড।
Advertisment
প্রথমার্ধে পুরোটাই ছিল মোহনবাগান শো। একের পর এক সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে যায় মহামেডানের ডিফেন্স। মেহরাজউদ্দিনের দলের ফুটবলারদের বার বার ভুল পাসের সুযোগ নেয় মোহনবাগান। মাঝমাঠ আপুইয়া এবং অভিষেক সূর্যবংশী পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। কোনওরকম সুযোগ পাচ্ছিলেন না মহামেডানের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক থেকে বিশ্বমানের গোল করেন কোলাসো (Liston Colaco)। কিন্তু বিরতির আগে মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ান আপুইয়া। তাঁকে লাল-কার্ড দেখান রেফারি। দশ জন হয়ে যায় বাস্তব রায়ের টিম। বিরতিতে মোহনবাগান ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলা ঘুরে যায় মহামেডানের পক্ষে। এবার পাল্টা আঘাত হানতে থাকে মোহনবাগানের ডিফেন্সে। আপুইয়া লাল কার্ড দেখায় ভেঙে পড়ে মোহনবাগানের মাঝমাঠ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সমতায় ফেরে সাদা-কালো ব্রিগেড। বক্সের বাইরে থেকে মহামেডান ফুটবলারের দুর্ধর্ষ গোলমুখী শট বাঁচান বিশাল কাইথ। কিন্তু রিবাউন্ড থেকে গোল করে চলে যান মহামেডানের অ্যাশলি। তার পর কয়েক মিনিট মোহনবাগান ডিফেন্স ঝড় তোলে মহামেডান। সেইসময় কার্যত দিশেহারা দেখাচ্ছিল দীপক টাংরি-দীপেন্দু বিশ্বাসের ডিফেন্সকে।
তবে মহামেডানের কিছু ডিফেন্সিভ ভুল কাজে লাগায় মোহনবাগান। ৬২ মিনিটে বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত ব্যাকফ্লিক থেকে বল পেয়ে মহামেডানের জালে বল জড়ান সুহেল ভাট। এর পর আরও বেশ কিছু সুযোগ পায় মোহনবাগান। ইনজুরি টাইমে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয় কোলাসোকে। পেনাল্টা পায় মোহনবাগান। আর সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে মহামেডানের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন কোলাসো। সবুজ-মেরুন শিবিরের জয়ের নায়ক তিনি-ই।
যেভাবে মহামেডান দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরে আসে তাতে সাদা-কালো ব্রিগেডের তরুণ ফুটবলার এবং কোচ মেহরাজউদ্দিনের স্ট্র্যাটেজির প্রশংসা করতেই হয়। ফিনিশিংয়ের অভাবে সমতায় ফিরতে পারেনি তাঁরা। অন্যদিকে, মোহনবাগানের ডিফেন্স এবং ফরোয়ার্ডদের সুযোগ নষ্টের বন্যা দেখে দুশ্চিন্তায় থাকবেন কোচ বাস্তব রায়। নক আউট পর্বে যেতে হলে এই দুটি বিষয় নিয়ে তাঁর ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।