সামান্যতম অসতর্ক হলেও কী হতে পারে, বার্সেলোনা বনাম লিভারপুলের রূদ্ধশ্বাস দ্বিতীয় লেগের ম্যাচই তার প্রমাণ। নকল কর্নার নিয়ে বার্সেলোনা রক্ষণকে ছত্রভঙ্গ করে চতুর্থতম গোল লিভারপুলের। ওরিগি-আর্নল্ডের বোঝাপড়ায় দুর্ধর্ষ গোল নিয়ে এবার পথ সচেতনতায় নামল মুম্বই পুলিশও।
কী করেছে মুম্বই পুলিশ! লিভারপুল-বার্সা ম্যাচের পরেই বুধবার টুইট করা হয় মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে। সরাসরি টুইটে লেখা হয়, "ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা হোক বা বাড়ি ফেরা, অসতর্ক হলে তার বড় খেসারত দিতে হয়। আপনার আপনজনকেও এমন খেসারত দিতে হতে পারে।" যা নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
এমনিতে ফুটবল হোক বা ক্রিকেট! কোনও ম্যাচের বিশেষ কোনও ঘটনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ভারতের বিভিন্ন শহরের পুলিশ বিভাগ জনসচেতনামূলক প্রচার চালায়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি-তে জসপ্রীত বুমরার বহু আলোচিত নো বল যেমন জয়পুর পুলিশের সচেতনামূলক প্রচারের অংশ হয়েছিল। তেমনই সাম্প্রতিককালে আইপিএলে মানকাডিং বিতর্ককে কেন্দ্র করে কলকাতা পুলিশ অনুরূপ প্রচার চালিয়েছে।
আরও পড়ুন
যাইহোক, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে অ্যানফিল্ডের রাত স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে প্রথম পর্বে ০-৩ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় পর্বে ঘরের মাঠে ৪-০ জয়। লিভারপুলের কামব্যাক সোনার হরফে লেখা থাকবে। একসময়ে লিভারপুল ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল। জয় নিশ্চিত করার জন্য চতুর্থ গোল করতেই হত ক্লপের ছেলেদের। সেই সময়েই চমকে দেওয়া বুদ্ধিদীপ্ত গোল।
ম্যাচের এক মুহূর্তে ১৪ বছরের বল বয় দ্রুত মাঠে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আলেকজান্ডার আর্নল্ডকে, কর্ণার নেওয়ার জন্য। বল মাঠের বাইরে যেতে পারে এমন সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। কর্নার কিক নেওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন আর্নল্ডও। হিসেবমত, বার্সা ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল মাঠ বাইরে যাওয়ার প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই দ্রুত কর্নার কিক করেন আর্নল্ড এবং অসতর্ক বার্সেলোনার ডিফেন্ডাররা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বার্সার গোলে বল জড়িয়ে যায়। এই গোলেই নিশ্চিত দুই পর্ব মিলিয়ে লিভারপুলের জয় এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছনো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সেরা ম্যাচের এই দৃষ্টান্তই আপাতত মুম্বই পুলিশের পথ নিরাপত্তা বিষয়ক প্রচারের সেরা হাতিয়ার।