New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/12/Lfw6X0vQsXFUEHUyTwRi.jpg)
KL Rahul-Sanjana Bumrah: কেএল রাহুল ও সঞ্জনা বুমরা। (ছবি- ফেসবুক)
KL Rahul-Sanjana Bumrah: কেএল রাহুল ও সঞ্জনা বুমরা। (ছবি- ফেসবুক)
Rahul’s Blunt Reply to Sanjana—‘This is Not Funny at All!: ভারতকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতাতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন উইকেটরক্ষক কেএল রাহুল। উইকেটকিপিংয়ের পাশাপাশি তিনি ব্যাটিংয়েও বারবার টিম ইন্ডিয়ার খুঁটি হয়ে দাঁড়িয়েছেন। যার ফলে দর্শক এবং বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি কোচ এবং অধিনায়কেরও বাহবা জুটেছে রাহুলের। সেই রাহুলকেই বেশ মজাদার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন বোলার জসপ্রীত বুমরার স্ত্রী তথা সঞ্চালক সঞ্জনা বুমরা। তিনি টিম ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জয়ী হওয়ার পর রাহুলের সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে সঞ্জনাকে প্রশ্ন করতে শোনা গিয়েছে, চার স্পিনারের বলে উইকেটকিপিং করে কেএল রাহুল কতটা মজা পেয়েছেন? আর, সেই প্রশ্ন শুনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক।
তিনি সঞ্চালিকা সঞ্জনাকে বলে ওঠেন, 'ব্যাপারটা মোটেও মজার নয় সঞ্জনা। প্রত্যেকে দুর্ধর্ষ স্পিনার। দুবাইয়ের উইকেটে ওঁরা সাহায্যও পাচ্ছিল। সেই কারণে বেশ ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল। এমন অবস্থা যে প্রত্যেক ম্যাচে আমাকে ২০০ থেকে ২৫০ বার ওঠবোস করতে হয়েছে।' মোদ্দা কথাটা হল, রাহুল স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে পেসারদের থেকেও স্পিনারদের বলে তাঁকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। যার ফলে, গোটা বিষয়টি তাঁর মোটেও মজাদার বলে মনে হয়নি।
তবে, উইকেটকিপিংটা মজাদার মনে না-হলেও ভারতের হয়ে মিডল অর্ডার এবং ফিনিশার হিসেবে ব্যাট করতে নেমে যে তিনি আনন্দ পেয়েছেন, সেকথা গোপন রাখেননি রাহুল। তিনি সঞ্জনাকে বলেছেন, 'গত একবছর ধরে চেষ্টাটা চালাচ্ছিলাম। দলের হয়ে আমি যে কোনও পজিশনে ব্যাট করতে রাজি। দলকে ম্যাচ জেতানোটাই আমার লক্ষ্য। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পেরেছি। নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছি। নিজের ওপর ভরসা ছিল। দলও আমার ওপর আস্থা রেখেছে। সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পেরে আমি খুশি।'
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের দাবিকে উড়িয়ে দিল আইসিসি! পুরস্কার বিতরণ নিয়ে বড় ধাক্কা পিসিবির
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই রাহুলের কেরিয়ারের প্রথম আইসিসি ট্রফি। স্বভাবত, এই ট্রফি জয়ে তাঁর আনন্দ যে একটু বেশিই হচ্ছে, সেকথা আর গোপন রাখেননি এই ক্রিকেটার। এই ব্যাপারে ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার বলেছেন, 'বিরাট আনন্দ পেয়েছি। কয়েক মাস আগেই বলেছিলাম যে, দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমি শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছি। পরিশ্রম করেছি, তার ফলও পেয়েছি। প্রত্যেক ক্রিকেটারই জীবনে একটা আইসিসি ট্রফি জেতার স্বপ্ন দেখে। সেটা শেষ পর্যন্ত সার্থক হয়েছে।'