KKR’s Glory at Eden, Mohun Bagan’s Misery in Jamshedpur – A Night of Contrasting Fortunes: এবারের আইপিএলে বৃহস্পতিবার রাতটা ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ব্যাটে এবং বটে হায়দরাবাদকে টেক্কা দিয়ে ৮০ রানে জিতল কেকেআর। আর, এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে উঠে এল নাইটরা। কিন্ত, সেই রাতেই জামশেদপুরের মাটিতে সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী দেখিয়ে আইএসএল-এর সেমিফাইনালে হেরেই গেল কলকাতার দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
বেশ কয়েকটি ম্যাচে অপরাজিত লিগ শিল্ড বিজেতা মেরিনার্সদের ২-১ গোলে হারাল জামশেদপুর এফসি। এটা এবারের আইএসএলে মোহনবাগান কোচ হোসে মলিনার দলের তৃতীয় হার। ম্যাচ দীর্ঘক্ষণ ১-১ ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ম্যাচের ৯১ মিনিটের মাথায় জাভি হার্নান্দেজের গোলে পিছিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। ওই গোলের ৫ মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি পেতে পারত খালিদ জামিলের দল জামশেদপুর। ফলে, ব্যবধান বাড়তেও পারত।
আরও পড়ুন- আইলিগে উঠে আইএসএলেও জায়গা করে নিতে মরিয়া ডায়মন্ড হারবার এফসি, আত্মবিশ্বাসী কোচ কিবু ভিকুনা
এই ম্যাচে প্রথম গোলটা অবশ্য জামশেদপুরই দিয়েছিল। ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় উভাইশের লং থ্রো বক্সের মধ্যে স্টিফেন এজে ব্যাকহেড করেন। সেখান থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো হাভিয়ের সিভেরিও বল হেড করে জালে ঢোকান। শুভাশিস বসু সামনে থাকলেও তা ঠেকাতে পারেননি। অবশ্য, প্রথমার্ধেই গোল শোধ করেছে মোহনবাগান। ৩৭ মিনিটের মাথায় জেসন কামিন্সকে বিশ্রীভাবে ফাউল করেছিলেন আশুতোষ মেহেতা। যার জেরে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। দুটো হলুদ কার্ড দেখায় পরের লেগে আর খেলতে পারবেন না মেহেতা। শেষ পর্যন্ত ফ্রি কিক থেকে গোল করেন কামিন্স।
আরও পড়ুন- ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনার মৃত্যুর আসল কারণটা কী? বিতর্ক তুলে দিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট
ম্যাচের একেবারে শেষদিকে জামশেদপুর কোচ খালিদ জামিল মাস্টার স্ট্রোক দেন। শেষ পর্যন্ত অ্যাডেড টাইমে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে যান জাভি হার্নান্দেজ। ঋত্বিক দাসের পাশ থেকে গোল করেন জাভি। পালটা চেষ্টা করেছিল মোহনবাগানও। কিন্তু, জামশেদপুরের গোলকিপার আলবিনো গোমস দুর্দান্ত সেভ করে দলকে বাঁচিয়ে দেন। ম্যাচে একটা সময় ভালো পাসারের অভাবে ভুগেছে বাগান। জামশেদপুরের ডিফেন্সে ভালো খেলেছেন প্রণয় হালদার।