Rawalpindi Stadium Attack: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারত, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে। প্রথমে “অপারেশন সিন্দুর” (Operation Sindoor), তারপর করাচি ও লাহোরের মতো বড় শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। এই প্রেক্ষাপটে রাওয়ালপিণ্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলা (Drone Attack) হয়েছে বলে খবর। ভাইরাল ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, ভারতীয় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাওয়ালপিণ্ডি স্টেডিয়ামে।
এই মাঠেই ৮ মে (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তান সুপার লিগে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন করাচি কিংস ও বাবর আজমের নেতৃত্বে পেশোয়ার জালমির মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। শেষপর্যন্ত ম্যাচ বাতিল করা হয়। আবার পরে কবে এই ম্যাচ হবে তা জানা যায়নি। কিন্তু এখন শুধু এই ম্যাচ নয়, পুরো টুর্নামেন্টই বাতিল হতে পারে। অনেক বিদেশি ক্রিকেটার পাকিস্তান ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বেশ কয়েকজন বিদেশি তারকা ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ছাড়তে মরিয়া।
পিসিবি ডেকেছে জরুরি বৈঠক
পাকিস্তানের জিও সুপার টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিসিবি বৃহস্পতিবার লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছে। এই বৈঠকে বাকি থাকা পিএসএল ম্যাচগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন ভারতীয় সেনার পরাক্রমে কুঁকড়ে গেল পাকিস্তান, বন্ধ হওয়ার মুখে PSL টুর্নামেন্ট?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ও পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামেও ড্রোন হামলা হয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪:৩০টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, ড্রোন হামলার কারণে রাওয়ালপিণ্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ম্যাচটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরি দাবি করেছিলেন যে লাহোর, গুজরানওয়ালা, চাকওয়াল, বাহাওয়ালপুর, মিয়ানো, করাচি, ছোর, রাওয়ালপিণ্ডি এবং অ্যাটক-সহ বিভিন্ন শহরে কিছু ড্রোনকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এই তথ্য পিটিআই সংবাদ সংস্থা দিয়েছে।
এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ভারতীয় এস-৪০০ ‘সুদর্শন চক্র’ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করে পাকিস্তানের ড্রোন ও মিসাইলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার পর। এই ড্রোন ও মিসাইল ভারত সীমান্তের দিকে এগোচ্ছিল বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন পাকিস্তানকে দুরমুশ করতে আরও একধাপ, লাহোর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দিল ভারত
এই হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর ও পশ্চিম ভারতের নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলিতে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করা এবং সামরিক প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটানো।
৭ থেকে ৮ মে’র রাতে পাকিস্তান ভারতের অবন্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, উধমপুর, ভাটিণ্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফলোডি, উত্তরলাই এবং ভূজ-সহ মোট ১৫টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও মিসাইলের মাধ্যমে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল।