নিজেদের দিনে আমরা সাত গুন বেশি ভারতকে হেসেখেলে হারাতাম। পাকিস্তানের উন্নতির সম্ভবনা কতটা, তা জানাতে গিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে বিশ্ব মঞ্চে ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার প্রসঙ্গই তুলে ধরলেন। তিনি বলে দিলেন, "ষাটের দশকে পাকিস্তান উন্নতির শিখরে উঠেছিল। আমরা এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতাম। আমিও সেই আশা নিয়ে বেড়ে উঠেছি। তবে ঘটনা হল আমরা কিন্তু নিজেদের উন্নতি ধরে রাখতে পারিনি। পাকিস্তানে গণতন্ত্র পা রাখতে পারেনি।"
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, "পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতারা দারুণ ব্যক্তি ছিলেন। দূরদৃষ্টি, সততা নিয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আমরা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছিলাম। আমাদের সেই আদর্শ পুনপ্রতিষ্ঠা করতে হবে যে আদর্শে আমাদের দেশ তৈরি হয়েছিল।"
প্রাতঃরাশ সেশনে পাক প্রধানমন্ত্রীর আরও সংযোজন, "গণতন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর সেনাবাহিনী ক্ষমতায় এসছিল। আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম, তখন ভারত সাতগুণ বড় দেশ ছিল। কিন্তু আমরা ওদের নিয়মিত হারাতাম। হকি সহ অন্যান্য খেলাতেও আমরা ভারতের চেয়ে বহুগুনে ভাল ছিলাম। তবে হেরোদের জন্য কেউ সমবেদনা জানায় না।"
তার আগে এদিন দাভোসের বক্তৃতায় ইমরান খান আরও বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেলে পুনরায় বানিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারত নিয়ে নিজের উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন ইমরান খান। তিনি আশাবাদী, মার্কিন হস্তক্ষেপে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে।
Read the full article in ENGLISH