Pakistan cricket scandals: টাকার জন্য দেশ বেচে খলনায়ক, ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করে নিষিদ্ধ এই পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা

Pakistan cricket match-fixing history: যাঁরা মাতৃভূমির ইজ্জত নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন, বার বার কলঙ্কিত করেছেন ক্রিকেটের স্পিরিটকে। এমনকী নিজের দেশকেও বিক্রি করতে পিছপা হননি, এমনই কিছু কলঙ্কিত খলনায়কদের কথা জেনে নিন

Pakistan cricket match-fixing history: যাঁরা মাতৃভূমির ইজ্জত নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন, বার বার কলঙ্কিত করেছেন ক্রিকেটের স্পিরিটকে। এমনকী নিজের দেশকেও বিক্রি করতে পিছপা হননি, এমনই কিছু কলঙ্কিত খলনায়কদের কথা জেনে নিন

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
Banned Pakistani cricketers: অন্তত ১০ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিভিন্ন সময়ে ফিক্সিংয়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন

Banned Pakistani cricketers: অন্তত ১০ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিভিন্ন সময়ে ফিক্সিংয়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন

Pakistani cricketers match-fixing scandals: ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খেলায় নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে—কিছু ভাল এবং কিছু খারাপ। কয়েক বছর আগে, ম্যাচ ফিক্সিং এবং স্পট ফিক্সিংয়ের দাগ ক্রিকেটে পড়েছিল। এই দুর্নীতিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটার যুক্ত থাকলেও, পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের নাম বিশেষভাবে সামনে এসেছে। অন্তত ১০ জন পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিভিন্ন সময়ে ফিক্সিংয়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যাঁরা মাতৃভূমির ইজ্জত নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন, বার বার কলঙ্কিত করেছেন ক্রিকেটের স্পিরিটকে। এমনকী নিজের দেশকেও বিক্রি করতে পিছপা হননি, এমনই কিছু কলঙ্কিত খলনায়কদের কথা জেনে নিন-

Advertisment

সেলিম মালিকের শেন ওয়ার্নকে অফার (Saleem Malik match-fixing controversy)

পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সেলিম মালিক নয়ের দশকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন দাবি করেন যে, মালিক তাঁর হোটেল রুমে এসে পাকিস্তানি ব্যাটারদের আউট না করার জন্য লাখ টাকার প্রস্তাব দেন। তদন্তে মালিক দোষী প্রমাণিত হন এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) তাঁকে আজীবন নিষিদ্ধ করে। যদিও এই নিষেধাজ্ঞা ২০০৮ সালে তুলে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন পহেলগাঁও হামলার পর 'সার্জিক্য়াল স্ট্রাইক' ভারতের, ফেঁসে গেলেন শোয়েব আখতার

Advertisment

রহমান ও মালিকের সহযোগিতায় ফিক্সিং 

১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের পেসার আতা-উর-রহমান ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত হন। জাস্টিস কাইয়ুম কমিটি তাঁকে এবং সেলিম মালিককে ফিক্সিংয়ের দোষী প্রমাণ করে। রহমানকেও আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়। নয়ের দশকে ওয়াসিম আক্রমের উপরও অভিযোগ আসে, তবে তাঁকে দোষী প্রমাণ না করে তাঁর আচরণ সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

২০১০ সালের লর্ডস স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি (2010 Lords spot-fixing scandal)

ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার—সলমান বাট, মহম্মদ আসিফ এবং মহম্মদ আমিরের নাম স্পট ফিক্সিংয়ের কলঙ্কের সঙ্গে জড়িয়েছিল। লর্ডস টেস্টে এই কেলেঙ্কারি ঘটে। সলমান বাট ফিক্সিংয়ের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এবং তিনি আমির এবং আসিফকে ইচ্ছাকৃতভাবে নো বল করতে বলেন। একটি স্টিং অপারেশন তাঁদের দোষী প্রমাণ করে। এরপর আইসিসি বাটকে ১০ বছর, আসিফকে ৭ বছর এবং আমিরকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইংল্যান্ডের আদালত তাঁদের কারাদণ্ডও দেয়।

আরও পড়ুন 'নিজেরাই মানুষ মারে আর...!' ফের মুখ খারাপ আফ্রিদির, Video-তে ভারতীয় সেনাকে কুৎসিত আক্রমণ

দানিশ কানেরিয়ার আজীবন নিষেধাজ্ঞা (Danish Kaneria lifetime ban)

২০০৯ সালে পাকিস্তানের লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া এসেক্স কাউন্টি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হন। তিনি ২০১৮ সালে তাঁর দোষ স্বীকার করেন। এরপর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে আজীবনের নিষিদ্ধ করে।

শারজিল খান ও উমর আকমল (Sharjeel Khan spot-fixing case)

২০১৭ সালে শারজিল খান PSL-এ স্পট ফিক্সিং করেন এবং তাঁকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। উমর আকমল ২০২০ সালে শাট্টাবাজদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য গোপন করেন, যাঁর জন্য তাকে ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন এ কী ভুল করলেন রামিজ রাজা! ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা পাকিস্তান