তৃতীয় দিনের শেষেই খেলার ফয়সালা হয়ে গিয়েছিল। চতুর্থ দিনের নয় মিনিটেই জোড়া উইকেট শাহবাজ নাদিম তুলে নিতেই টানা দু-টেস্টে ভারতের ইনিংস সহ দক্ষিণ আফ্রিকা বিজয়। সবমিলিয়ে প্রতিপক্ষকে দুরমুশ করে হোয়াইটওয়াশ করার পরে রবি শাস্ত্রী জানিয়ে দিচ্ছেন, পিচ নিয়ে দল আর একদমই ভাবিত নয়। ৫৭ বছরের কোচ ভারতের বিরাট জয়ের পরেই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বলে দিয়েছেন, "আমাদের আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল যদি পিচ ফ্যাক্টরকে পুরোপুরি উড়িয়েই দেওয়া যায়। বিশ্বের যেখানেই খেলা হোক না কেন, আমরা সবসময়েই প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট দখল করতে চেয়েছি। আমাদের ব্যাটিং ঠিকঠাক চললে একদম ফেরারি গাড়ি! আমরা কেবল ২০ উইকেট তোলাতেই ফোকাস করেছি।"
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং- দুই বিভাগেই প্রতিপক্ষকে কার্যত তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। টিম গেমের প্রশংসা করেই শাস্ত্রী বলেছেন, "আমাদের সাফল্য টিম এফর্টের ফলাফল। সাধারণত, সিরিজ জয়ে খুব বেশি হলে দুই ক্রিকেটারের নাম উঠে আসে। তবে আমাদের দলের প্রত্যেকেই অবদান রেখেছে।"
ব্যাটিং কীর্তিতে শাস্ত্রীর মুখে দুই মুম্বইকরের নামই উঠে আসছে। শাস্ত্রী জানিয়ে বলছেন, "রাহানে সবসময়েই দলীয় থিঙ্কট্যাঙ্কের অংশ ছিল। ওকে কেবল নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করতে হত। টেস্ট ক্রিকেটে ওপেন করার সময় কেউ ১০ বলের মধ্যেই আউট হয়ে যেতে পারে। তবে রোহিত নিয়মিত দু-ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়ে এসেছে। লাঞ্চের পরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে যায়। রোহিত সেই সুযোগের ফায়দা তুলেছে।"
অভিষেকেই নজর কেড়েছেন শাহবাজ নাদিম। স্পিনার হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছেন ধোনির রাজ্যের উঠতি তারকা। প্রথমবার খেলতে নেমেই ৩০ বছরের স্পিনার ৪ উইকেট পকেটে পুরেছেন। ১১০টি ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচে খেলে নাদিম ৪১০ উইকেট নিয়েছেন। তারপরেই এবার বিশ্বমঞ্চে সাফল্য। শাস্ত্রীও বলছেন, "নাদিম প্রত্যেককেই প্রভাবিত করেছে। ওর রিস্ট পজিশন দারুণ। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে এসেছে ও। এবার ঘরের মাঠেও নজর কাড়ল। সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নেমে কখনই নার্ভাস হয়ে পড়েনি। টানা তিন ওভার নাদিম মেডেন ওভার করেছে।"
দিনের দ্বিতীয় ওভারে পরপর দু-বলে জোড়া উইকেট দখল করার পরে নাদিমের সামনে পরের টেস্টে হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকছে। প্রথম বলেই যদি উইকেট নিতে পারেন, তাহলেই কেল্লাফতে। সেই নজির কী গড়তে পারবেন ঝাড়খণ্ডের স্পিনার, সেটাই দেখার।
Read the full article in ENGLISH