শনিবার বড়সড় ঘোষণায় নির্বাচকদের পক্ষ থেকে চার পরিবর্তন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে অজিঙ্কা রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা, ঋদ্ধিমান সাহা এবং ইশান্ত শর্মাকে। বড় ঘোষণার পরেই নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান চেতন শর্মা জানিয়েছেন, চারজনকেই চলতি রঞ্জিতে খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূজারা এবং রাহানে ইতিমধ্যেই সৌরাষ্ট্র এবং মুম্বইয়ের জার্সিতে রঞ্জিতে নেমে পড়েছেন। ইশান্ত শর্মা দ্বিতীয় রঞ্জি ম্যাচে থেকে খেলবেন দিল্লির হয়ে। তবে ঋদ্ধিমান সাহা নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। দল ঘোষণার পর প্রবল হতাশায় একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছেন বাংলার তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে ঋদ্ধিমান জানিয়ে দিয়েছেন, বাদ দেওয়ার আগে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগাম। সেই সঙ্গে কোচ দ্রাবিড়কে নিশানা করেছেন তিনি। দ্রাবিড় নাকি তারকাকে অবসরের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: কথা দিয়েও রাখেনি দাদি, সৌরভের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বাদ পড়া ঋদ্ধিমান
"টিম ম্যানেজমেন্ট আগেই জানিয়ে দেয়, আমাকে আর বিবেচনা করা হবে না। টিম ইন্ডিয়া সেট আপে থাকায় সেটা জানাতে পারিনি প্রকাশ্যে। এমনকি কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও আমাকে অবসরের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।"
এমনটা জানিয়ে দ্রাবিড়ের সঙ্গে ঋদ্ধিমান একহাত নিয়েছেন সৌরভকেও। বলে দিয়েছেন, “গত নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুরে ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে ৬১ করে দিলাম। সেই জন্যই হারা-জেতার ম্যাচে আমরা জয়ের জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। তারপরে দাদিও আমাকে হোয়াটসএপে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলে দেন, 'যতদিন আমি আছি, তোকে চিন্তা করতে হবে না।' সেটা শোনার পর মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।”
আরও পড়ুন: আগেই বাদ দেওয়ার খবর জানাই! রাহানে-পূজারা-ঋদ্ধিকে ছাঁটার পরেই বার্তা নির্বাচক প্রধানের
এরপরেই নাকি মোহভঙ্গ হয় তারকার। “তবে সাউথ আফ্রিকায় পুরোটাই যখন উল্টো হল, তখন শকড তো হবই। একটা সিরিজে কী এমন ঘটল যে হয় আমার বয়স বেড়ে গেল, নাহলে কী এমন হল। দাদি বলার পরেও বাদ পড়লে শকড তো হবই।” আরও সংযোজন করেছেন তিনি।
ঋদ্ধিমানের বদলে ঋষভ পন্থের সঙ্গে দ্বিতীয় কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে জাতীয় দলে বেছে নেওয়া হয়েছে কেএস ভরতকে। স্কোয়াডে এর আগে ভরত থাকলেও এখনও টিম ইন্ডিয়ায় অভিষেক ঘটেনি তাঁর।
আরও পড়ুন: টেস্টেও ক্যাপ্টেন হলেন রোহিত! ঋদ্ধিমান সহ চার সিনিয়রকে ছেঁটে ফেলা হল সরাসরি
২০১০-এ জাতীয় দলে অভিষেক ঘটেছিল ঋদ্ধিমান সাহার। তবে ধোনির অবসরের পরেই নিয়মিত জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান তিনি। যদিও ঋষভ পন্থের দ্রুত উত্থানে প্ৰথম এগারো থেকে ফের একবার জায়গা খোয়াতে হয় বাংলার তারকাকে। ২০২০/২১ মরশুমে পন্থই দলের ফার্স্ট চয়েস উইকেটকিপার হয়ে দাঁড়ান। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে একটা ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি ঋদ্ধিমান।
নির্বাচক প্রধান যদিও জানিয়ে দিয়েছেন, পারফর্ম করে সিনিয়র প্লেয়াররা পুনরায় কামব্যাক ঘটাতে পারেন, ঋদ্ধিমান সাহার প্রত্যাবর্তন কার্যত অসম্ভব। এমনটাই মনে করছে ক্রিকেট মহল।