জাতীয় সঙ্কট চলছে আফগানিস্তানে। মসনদে বসে থাকা প্রেসিডেন্টকে পদচ্যুত করে গোটা দেশের দখল নিয়েছে তালিবানি জঙ্গিরা।
তালিবানি জমানাতেই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড দেশের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর অঙ্গুলিলেহনে চলছে। যদিও তালিবানি জমানায় আফগানিস্তান ক্রিকেট সুরক্ষিত বলে দাবি করা হচ্ছে। তালিবানি শাসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের শীর্ষসারির নেতারা ক্রিকেটের ফ্যান। তাই ক্রিকেট খেলা আগের মতই চলবে।
আরও পড়ুন: তালিবানি আতঙ্কে দিশেহারা! আফগানিস্তান ছেড়ে ভারতেই কোচিং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলীয়র
তবে জাতীয় দলের একাধিক তারকা তালিবানি শাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। মহিলা ক্রিকেট দলের ভবিষ্যৎ ও অনিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড একদিন আগেই কার্যত হুমকির সুরে জানিয়ে দিয়েছে, মহিলা ক্রিকেট দল বন্ধ হলে আফগানিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করবে তাঁরা।
এমন অনিশ্চিত আবহেই টি২০ বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করে দিল আফগান ক্রিকেট বোর্ড। দেশের অরাজকতার মধ্যেই এবার আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে আফগান বোর্ডের কর্তারা আলোচনা সারলেন নির্বাচকদের সঙ্গে। অক্টোবরের ১৭ থেকে ওমান এবং আমিরশাহিতে বসছে বিশ্বকাপের আসর।
এদিকে নির্বাচনের পরেই বিতর্কে আফগান ক্রিকেট বোর্ড। জাতীয় দলের স্কোয়াড নির্বাচনের সময় তাঁর সঙ্গে বোর্ডের সিইও হামিদ শিনওয়ারি সহ শীর্ষসারির কর্তারা কোনওরকম আলোচনাই করেনি, এমন দাবি করে ক্যাপ্টেনের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রশিদ খান।
আরও পড়ুন: আফগান ক্রিকেট দফতরে তালিবান হানা, দখল হয়ে গেল রশিদদের হেডকোয়ার্টার্স
রশিদ খানকে ক্যাপ্টেন রেখেই ২০ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল আফগান বোর্ড। তারপরই বিতর্ক ঘটিয়ে রশিদ খান নিজের টুইটার হ্যান্ডলে জানিয়ে দেন, "জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন এবং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক দল নির্বাচনের অংশ হওয়া আমার অধিকারের মধ্যেই পড়ে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং নির্বাচন কমিটি যে দল ঘোষণা করেছে তাতে আমার সম্মতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমি এই মুহূর্তে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আফগানিস্তানের হয়ে খেলা সবসময়েই গর্বের বিষয়।"
রশিদ খান প্রকাশ্যেই তালিবানি শাসনের বিরোধতায় সরব হয়েছিলেন কিছুদিন আগে। সেই কারণেই কি তাঁকে ব্রাত্য রেখে দল ঘোষণা করল তালিবান জঙ্গিদের অঙ্গুলিলেহনে চলা আফগান বোর্ড, প্রশ্ন উঠছে তার পরেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন