প্রথম টেস্টে ঋদ্ধিমানের পরিবর্তে প্রথম একাদশে ঋষভ পন্থকে দেখে চমকে গিয়েছিল ক্রিকেট মহল। টেস্টের অটোমেটিক এক নম্বর কিপারকে বসিয়ে পন্থকে খেলাতেই প্রতিবাদে সরব হয়েছিল ক্রিকেট মহলের একাংশ। ঋষভ পন্থ অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকেই বাইরে ছিলেন। নিউজিল্যান্ড সফরেও দুই সিরিজে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে। সেই পন্থকেই টিম ম্যানেজমেন্ট টেস্টের একাদশে অন্তর্ভূক্ত করায় রাগে ফেটে পড়েছিলেন হর্ষ ভোগলের মতো ব্যক্তিত্বও। তবে ঘটনা হল, দ্বিতীয় টেস্টেও সম্ভবত পন্থকেই খেলানো হবে। বাইরেই বসে থাকতে হবে বাংলার তারকা উইকেটকিপারকে।
জাতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি জানিয়ে দিলেন, "ভারতে ঋদ্ধিমানকে খেলানো হত, কারণ ছিল একটাই। ওখানের পিচ টার্নিং ট্র্যাক। সেই ধরণের পিচে সাহা বিশ্বের অন্যতম সেরা। তবে নিউজিল্যান্ডের বিষয়টি আলাদা। এখানে কিন্তু স্পিন বোলিং ম্যাচে ততটা প্রভাব ফেলে না। আমাদের তরফে জোর দেওয়া হয়েছিল ব্যাটিং এবং ফাস্ট বোলিংয়ে। লোয়ার অর্ডারে আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান হিসেবে ঋষভকেই তাই বেছে নেওয়া হয়।"
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ থেকে জাতীয় দলের বাইরে পন্থ। প্রথম ম্যাচে কনকাশন চোট পেয়েছিলেন। তার পরিবর্তে উইকেটকিপার ও ব্যাটসম্যানের ভূমিকা দারুণভাবে সফল হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। তারপর লোকেশ রাহুলই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাকি একদিনের সিরিজে খেলেছিলেন উইকেটকিপার হিসেবে। লোকেশ উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব পালন করায় ভারতও একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যানকে খেলানোর সুযোগ পেয়েছিল।
নিউজিল্যান্ডেও সেই ট্রেন্ড বজায় থেকেছিল। ৫টি টি২০ ও ৩টি একদিনের ম্যাচে ঋষভ পন্থকে রিজার্ভ বেঞ্চেই কাটাতে হয়েছিল। তারপরে পন্থের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। সীমিত ওভারের খেলায় বসে থাকা ঋষভ যে হঠাৎ করে টেস্টের একনম্বর ঋদ্ধিমানকে সরিয়ে প্রথম একাদশে জায়গা করে নেবেন, তা কেউ ভাবতেই পারেনি। ব্যাটিংয়ের জন্য ঋষভকে নেওয়া হলেও দুই ইনিংসে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন তরুণ তারকা।
ঋদ্ধিমান অন্যদিকে, টেস্টে বরাবর ভারতের অটোমেটিক চয়েস। ধোনির অবসরের পর থেকে ঋদ্ধিই পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ভারতের উইকেটকিপিংয়ের মুখ। সেই সাহাকেই বাদ পড়তে হয়েছিল।
ক্রাইস্টচার্চের হেগলে ওভালে সিম সহায়ক পিচেই খেলতে হবে ভারতকে। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সামনে শক্ত চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দেবেন কিউয়ি পেসাররা। শাস্ত্রীর যুক্তি মানলে শনিবার থেকে শুরু হতে চলা টেস্টেও সম্ভবত বাইরে থাকতে চলেছেন বাংলার ঋদ্ধি।
Read the full article in ENGLISH