সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে টি২০ বিশ্বকাপের পরেই অতীত হয়ে যাচ্ছেন রবি শাস্ত্রী। রবি শাস্ত্রীর সঙ্গেই কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যদের চুক্তি হয়েছিল ২০১৯-যে। চলতি বছরে টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্তই চুক্তির মেয়াদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাস্ত্রী নাকি ইতিমধ্যেই বোর্ডের বেশ কিছু সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তির মেয়াদ শেষের পর আর থাকতে আগ্রহী নন তিনি। দেশের জার্সিতে নামকরা অলরাউন্ডার ছিলেন। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরে ২০১৪-য় ইংল্যান্ড সফরের সময় জাতীয় দলের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হন তিনি।
আরও পড়ুন: ছিটকে গেলেন সুপারস্টার! লর্ডস টেস্টের একদিন আগেই বজ্রপাত টিম ইন্ডিয়ায়
ক্রিকেট ডিরেক্টর পদে ২০১৫-র বিশ্বকাপে হেড কোচ ডানকান ফ্লেচারের সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ায় কাজ করেছেন। ফ্লেচার ছেড়ে যাওয়ার পরেও নিজের পদে বহাল ছিলেন তিনি। ক্রিকেট ডিরেক্টর পদে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দেখা গিয়েছিল ২০১৬-য় টি২০ বিশ্বকাপের সময়। যেখানে ভারত সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজিত হয়েছিল।
২০১৬ সালে শাস্ত্রীর পরিবর্তে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অনিল কুম্বলের হাতে। পরে কুম্বলে পদত্যাগ করার পরে কোচের পদে নিয়োগ করা হয় শাস্ত্রীকে। সেই সময় টিম ইন্ডিয়ায় কোচের পদে আবেদন করেছিলেন মাইক হেসন, টম মুডিরাও। ২০১৯-এ কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি রবি শাস্ত্রীকে পুনর্নিয়োগ করে।
আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষ দ্রাবিড়ের! কোচ শাস্ত্রীর ছাঁটাইয়ের জল্পনা আরও জোরালো
২০১৭-য় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দাপটে জয়ের মাধ্যমে সফর শুরু করে রবি শাস্ত্রীর ভারত। তারপরে শাস্ত্রীর কোচিংয়ে একের পর এক উত্তুঙ্গ কীর্তি গড়েছে ভারত- ২০১৯-এ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছনো হোক বা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠা। শাস্ত্রীর কোচিংয়েই ভারত প্ৰথম এশিয়ান দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জিতে এসেছে। আইসিসি টেস্ট ক্রমতালিকায়-ও ভারত ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থান অর্জন করে এসেছে।
শাস্ত্রীর কোচিং স্টাফে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর এবং ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। অরুণ এবং শ্রীধর টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে রয়েছেন ২০১৪ থেকে। তবে বিক্রম রাঠোর দলে যোগ দিয়েছেন ২০১৯-এ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টিম ইন্ডিয়ার সাপোর্ট স্টাফরা পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন।
শাস্ত্রী জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে আইপিএল দুনিয়ায় চাহিদা যে তুঙ্গে থাকবে তাঁর, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তাছাড়া শাস্ত্রী নিজের পুরোনো পেশা ধারাভাষ্য জগতেও ফিরে যেতে পারেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন