Rishabh Pant: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্ট ম্য়াচের (IND vs ENG 4th Test Match) প্রথম দিনই ঋষভ পন্থ কীভাবে চোট পেয়েছিলেন, সেটা গোটা ক্রিকেট বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। পরের দিনই যে রিপোর্ট সামনে আসে, সেখানে জানা যায় যে পন্থ পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। এরপরও যখন শার্দূল ঠাকুর আউট হলেন, তারপর গোটা স্টেডিয়াম হাততালিতে ফেটে পড়ে। ব্যাট করার জন্য মাঠে নামলেন ঋষভ পন্থ। এই সিদ্ধান্ত নিতে যে যথেষ্ট মনের জোর দরকার, সেটা আর আলাদা করে বলে দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু, অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, ঋষভের এই বাহাদুরি টিম ইন্ডিয়ার (Indian Cricket Team) জন্য ব্যাকফায়ার করবে না তো?
দলের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই ব্যাট করতে নামেন ঋষভ পন্থ
ম্যানচেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন ছিল, ঋষভ পন্থের এবার কী হবে? ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঋষভ পন্থকে ড্রেসিংরুমে দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ব্যাট করার জন্য তিনি একেবারে প্রস্তুত ছিলেন। এটা আলাদা কথা যে প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, এই ফ্র্যাকচারের কারণে ঋষভকে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ ক্রিকেট মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এরপর শার্দূল ঠাকুর আউট হওয়ার পর ঋষভ যখন ব্যাট করতে নামলেন, তখন সকলেই এই সিদ্ধান্তের ভূয়শী প্রশংসা করলেন। শোনা যাচ্ছে, এটা নাকি টিম ম্য়ানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল না। বরং পন্থ নাকি নিজেই জানিয়েছেন দলের নাকি তাঁকে প্রয়োজন রয়েছে। আর সেকারণেই তিনি ব্যাট করতে চান।
IND vs ENG 4th Test Match: অসহ্য যন্ত্রণা চেপে ৫ রেকর্ড ঋষভের, ভাঙলেন রথী-মহারথীদের কীর্তি!
এভাবে ব্যাট করার জন্য আরও গভীর হতে পারে ঋষভের চোট
এখানে একটা বিষয় মনে রাখতেই হবে, যদি ঋষভ প্রথম ইনিংসে ব্যাট না করতেন, তাহলে ভারতের ৯ উইকেটের পতন হলেও টিম ইন্ডিয়াকে অল আউট বলে ঘোষণা করা হত। পন্থের জায়গায় ধ্রুব জুরেল কিপিং করতে পারলেও, ব্যাট করার সুযোগ পেতেন। অনেকে মনে করছেন, তৃতীয় ইনিংসে পন্থের প্রয়োজনীয়তা হয়ত তুলনামূলক বেশি ছিল। কারণ সেইসময় টিম ইন্ডিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে। যে কন্ডিশনে ঋষভ ব্যাট করতে নামলেন, তাতে পন্থের চোট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। আর সেটা যদি হয়, তাহলে টিম ইন্ডিয়ার দুর্ভোগ আরও বাড়বে বই কমবে না।
Rishabh Pant Injury: ভাঙা চোয়াল থেকে পিঠে যন্ত্রণা, মারাত্মক চোট নিয়েও ২২ গজে ৫ ভারতীয়র অসীম লড়াই
ভবিষ্যতের কথা অবশ্যই ভাবতে হবে পন্থকে
চলতি টেস্ট সিরিজে এটাই টিম ইন্ডিয়ার শেষ ম্য়াচ নয়। এরপরও ভারতকে ম্য়াচ খেলতে হবে। সেখানে ঋষভ পন্থের মতো ব্যাটারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এই আপ্তবাক্যটা কারোর কাছেই অজানা নয়। এরপরও পন্থ এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত কেন যে গ্রহণ করলেন, সেটাই কেউ বুঝতে পারছেন না। যদি প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে না নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে আসতেন, তাহলে এই চোট হয়ত কিছুটা হলেও সেরে উঠত। কিন্তু, বর্তমানে তেমন সম্ভাবনা একেবারেই নেই। যদি পন্থের এই সিদ্ধান্ত ব্যাকফায়ার করে অর্থাৎ চোট আরও গভীর হয়ে যায়, তাহলে সেই দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে? এই প্রশ্নের জবাবই বা দেবেন কে?