জাতীয় অনুর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ছিলেন। তাঁর কোচিংয়েই উত্থান গৌতম গম্ভীর এবং রবিন উত্থাপ্পাদের মতো তারকাদের। তিনিই এবার জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করলেন। আর আবেদন করেই রবি শাস্ত্রীকে বেনজিরভাবে আক্রমণ করে বসলেন। সরাসরি বলে দিলেন, রবি শাস্ত্রী মোটেই কার্যকর নন। "বর্তমান কোচের অধীনে পরপর দু-বার বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। এবং কোচিংয়ে বদল আনলে তা সদর্থক প্রভাব ফেলবে।" বলে দিচ্ছেন জাতীয় দলের একসময়ের নির্ভরযোগ্য তারকা।
ভারতীয় যুব দলের পাশাপাশি সিনিয়র পর্যায়েও কোচিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে রবিন সিংয়ের। ২০০৭ সালে জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হয়েছিলেন রবিন সিং। তার আগেই হংকং-য়ের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাটিয়ে এসেছিলেন সামান্য সময়। তবে কোচ রবিন সিংয়ের সবথেকে বড় কৃতিত্ব আইপিএল-এর সময়ে। ২০১০ সালে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দলে যোগ দেন। প্রধান কোচ থাকাকালীন তাঁর কোচিংয়েই শেষ চারে ফিনিশ করেছিল আইপিএলের অন্যতম তারকাখচিত দল। এখনও মুম্বইয়ের ফিল্ডিং কোচের ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
আরও পড়ুন চূড়ান্ত হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ! ফাঁস করলেন শীর্ষ কর্তাই
কোহলিদের সংসারে নতুন কোচ! ঘোষণা করে দিল বিসিসিআই
কোহলিদের দায়িত্বে হয়তো অশ্বিনদের হেড স্যার! চমকে দেওয়া খবর বোর্ড সূত্রে
সর্বভারতীয় এক প্রচারমাধ্যমে রবিন সিংয়ের সাক্ষাৎকারের পুরোটাই রবি শাস্ত্রী-র প্রতি বিষোদগারে পূর্ণ। খোঁচা দিয়ে তিনি শাস্ত্রীকে বলছেন, "আপনাকে কোচিং করানোর সময় খেলার মধ্যে মানসিকভাবে সংযোগস্থাপন করতে হবে। দলের পরিস্থিতিতেই নিজেকে ফেলতে হবে। দলের প্রতিটি পদক্ষেপে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত থাকতে হবে। দলের ক্রিকেটারদের মানসিকতা বুঝতে হবে। যদি আপনি এগুলো করতে পারেন, তাহলেই টেকনিকালি আপনি খেলাটাকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন।"
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে দলের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রবিন সিং সেই ম্যাচের পোস্ট মর্টেম করতে গিয়ে জানিয়েছেন, "বল যখন শুরুতে মুভ করছিল। রোহিত শর্মাও আউট হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কোহলিকে চার নম্বরে পিছিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তিন নম্বর পজিশনের জন্য আরও একজন টপ অর্ডারের ব্য়াটসম্যানকে খেলানো উচিত ছিল। সেটা মায়াঙ্ক আগারওয়াল হতেই পারত। ধোনিকে পাঁচ নম্বরে নামানো উচিত ছিল। কোহলি ও ধোনিকে একসঙ্গে ব্যাটিং করার প্রয়োজন ছিল। তারপরে শেষের দিকে তিনজন পাওয়ার হিটার তো থাকতই- হার্দিক পাণ্ডিয়া, ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাদেজা।"