অনেক আশা-ভরসা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ভারত। বিশাখাপত্তনমে দলের ফোকাসে ছিলেন একজনই। তবে টেস্টে ওপেনার হিসেবে প্রত্যাবর্তনে শুরুতেই সফল রোহিত শর্মা। দুরন্ত শতরান করে দলকে চালকের আসনে পৌঁছে দিলেন তিনি। টসে জিতে ভারত বিশাখাপত্তনমে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ফিলান্ডার, রাবাদা, কেশব মহারাজদের বিপক্ষে কেমন ব্যাট করেন হিটম্যান। সেদিকেই নজর ছিল। তবে সকলের প্রত্যাশা পূরণ করেই টেস্টে শতরান করলেন তারকা ভারতীয়।
রোহিতের পাশাপাশি অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালও দারুণ ব্যাট করছেন। দ্বিতীয় সেশন প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই ওপেনার মিলে ভারতকে স্বস্তিজনক শুরু উপহার দিয়েছেন। ১৭২ বলে ৭৬ রানে ব্যাটিং করছেন মায়াঙ্ক। রোহিত শতরান পূর্ণ করেছেন ১৬০ বলে। নিজের ইনিংসে ১০টা বাউন্ডারি সহ চারটে বিশাল ছক্কাও হাকিয়েছেন।
তার আগে রোহিত কেরিয়ারের একাদশতম টেস্ট অর্ধশতরান পূর্ণ করার পরেই বোঝা গিয়েছিল তিনি বড় রানের পথে হাঁটবেন। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে ফিলান্ডার ও রাবাদা- প্রত্যেকের কাছে শিকার হয়েছিলেন তিনবার। তবে বিশাখাপত্তনমের পিচে রোহিতকে দু-জনের কেউই সমস্যায় ফেলতে পারলেন না।
এদিন শুরুতে যথেষ্ট সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন রোহিত। ক্রিজে সময় নিচ্ছিলেন। তবে একবার থিতু হওয়ার পরেই নিজের পরিচিত মেজাজে খেলতে শুরু করেন। কেশব মহারাজকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে রোহিত বুঝিয়ে দেন, দিনটা তার।
বিশ্বকাপের দুরন্ত ফর্মের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেলেও প্রথম একাদশের বাইরেই থাকতে হয়েছিল তারকা ক্রিকেটাররা। তবে লোকেশ রাহুলের অফ ফর্ম রোহিতকে প্রথম একাদশের বৃত্তে নিয়ে আসে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনম টেস্ট-ই ছিল তাঁর অ্যাসিড টেস্ট। তবে শুরুতেই সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ তিনি।