ICC Champions Trophy & Team India: চাকরি যাচ্ছে না রোহিত শর্মার। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত তিনিই ভারতের অধিনায়ক থাকবেন। অবশ্য তার পর বুমরাকে অধিনায়ক করা হতে পারে। এমনটাই বিবেচনা করা হচ্ছে বলেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) সূত্রে খবর। রোহিতের অধিনায়কত্বে ভারত যেমন বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে। তেমনই ব্যর্থতার সংখ্যাও নেহাত কম না। ২০২৩ আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপের সময় রোহিতের নেতৃত্বেই টিম ইন্ডিয়া একটানা ১০ ম্যাচ জিতেছিল। ফাইনালে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া। আবার ২০২৪-এ বার্বাডোজে রোহিতের নেতৃত্বেই টিম ইন্ডিয়া আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। ফলে, রোহিত ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম না।
কিন্তু, ২০২৪-এর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক, উভয় ভাগ্যই যেন 'হিটম্যান'কে ছেড়ে দিয়েছে। ২০২৪-২৫ টেস্ট মরশুমে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোম সিরিজ দিয়ে রোহিতের পতন শুরু হয়। ভারত অধিনায়ক ৮ ম্যাচ এবং ১৫ ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রান করেন। গড় ছিল ১০.৯৩, সর্বোচ্চ স্কোর ৫২। সদ্যসমাপ্ত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে রোহিত ৩ টেস্টে মাত্র ৩১ রান করেন। সর্বোচ্চ স্কোর ১০। তাঁর ফর্মের সমস্যা এতটাই ছিল যে তিনি সিডনির শেষ টেস্ট থেকে সরেই যান।
অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের পারফরম্যান্স সম্প্রতি লজ্জার চরম সীমায় পৌঁছেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের ঠিক আগে, ভারত ১২ বছরের মধ্যে তাদের প্রথম হোম টেস্ট সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে হেরেছে। এটাই তিন ম্যাচ বা তার বেশি ম্যাচের হোম টেস্ট সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম হোয়াইটওয়াশ। জসপ্রীত বুমরার নেতৃত্বে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানে জয়ের পর, রোহিত তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর দলে ফেরেন। কিন্তু, তিনি ফেরার পরই ভারত এডিলেডে গোলাপি বলের টেস্ট হারে। ব্রিসবেনে বৃষ্টির দয়ায় কোনওমতে ৩য় টেস্ট ড্র করে। মেলবোর্নে বক্সিং ডে এবং সিডনিতে ৫ম তথা নতুন বছরে হওয়া টেস্টে হেরে যায়।
২০২৪ সালে রোহিতের দল ৬ টেস্টে হেরেছে। যার মধ্যে ৪টি ঘরের ম্যাচ। এর ফলে অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের টেস্ট রেকর্ডেও কালি লেগেছে। বর্তমান ফলাফল হল- ১২টি জয়, ৯টি হার, ৩টি ড্র। আর, বুমরা এখনও পর্যন্ত ৩ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে ১টিতে জয় এবং ২টিতে হেরেছে। ভারতের কাছে সাম্প্রতিকতম চ্যালেঞ্জ- আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। যা ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে। ম্যাচগুলো পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হবে। এই ট্রফিতে ভারত হাইব্রিড মডেলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলবে।
৮ দলের এই টুর্নামেন্টে ১৫টি ৫০ ওভারের ম্যাচ থাকবে। খেলা হবে পাকিস্তান এবং দুবাইয়ে। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ম্যাচ হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অভিযান শুরু করবে।
টুর্নামেন্টের গ্রুপ এ-তে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী তথা আয়োজক পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারত, নিউজিল্যান্ড আর বাংলাদেশ। গ্রুপ বি-তে আছে ২০২৩ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর এবং করাচিতে টুর্নামেন্টটি হবে। প্রতিটি ভেন্যুতে হবে তিনটি করে গ্রুপ ম্যাচ। লাহোরে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, ফাইনালও হবে লাহোরে, ৯ মার্চ। ভারত উঠলে ফাইনাল হবে দুবাইয়ে।
আরও পড়ুন- সাপোর্ট স্টাফদের নিয়ে তুলকালাম, বিসিসিআই বৈঠকের পর আরও গম্ভীর গৌতম
ভারতকে নিয়ে তিনটি গ্রুপ ম্যাচ, সঙ্গে প্রথম সেমিফাইনাল দুবাইতে হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে গ্রুপ এ পর্বে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। পরের দিন দুবাই লেগ শুরু হবে। ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ। ২১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে গ্রুপ বি-র ম্যাচ। করাচিতে আফগানিস্তান প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে খেলবে। শনিবার লাহোরে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হবে। পরের দিন হবে পাকিস্তান-ভারত হাইভোল্টেজ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মোট ৮ দল খেলবে। এরা সেই ৮ দল, যারা ২০২৩ বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল।