একের পর এক চমক দিয়েই চলেছে ইস্টবেঙ্গল। চেলসির প্রাক্তন গোলকিপার কোচ লেসলি ক্লিভলিকে এবার দলের সঙ্গে যুক্ত করল এসি ইস্টবেঙ্গল। রবিবার বড়সড় ঘোষণায় ইস্টবেঙ্গল জানিয়ে দেয় শীর্ষ পর্যায়ে দীর্ঘদিন কোচিং করানো লেসলিকে গোলকিপার কোচের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছে।
ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার আগে লেসলি বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার পরে ক্লাবের ওয়েবসাইটে লেসলি জানিয়ে দিয়েছেন, "বিশ্বের এই প্রান্তে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। বাংলাদেশে কোচিং করানোর সময় বুঝেছি, এখানের সমর্থকরা ফুটবল অন্ত প্রাণ। ইস্টবেঙ্গল সমর্থক পুষ্ট ক্লাব। এই ক্লাবে যোগ দিতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। ক্লাবে কীভাবে কাজ করব, তা নিয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা কষেছি। ক্লাবের তিন গোলকিপারই (অরিন্দম ভট্টাচার্য, শঙ্কর রায় এবং শুভম সেন) অভিজ্ঞ।।আশা করি ওঁরা দারুণ ফুটবল উপহার দেবে।"
আরও পড়ুন: মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে! বেঞ্চারিফার স্টাফ যোগ দিলেন লাল-হলুদে
উয়েফা এ লাইসেন্স থাকা ক্লিভলের অভিজ্ঞতা দু-দশকেরও বেশি। ১৯৯৭-এ কোচিং কেরিয়ার শুরু করেন মিলওয়াল এফসিতে। ফুলহ্যাম এফসিতে (১৯৯৯-২০০২) এডুইন ভ্যান ডার সার, মাইক টেলরের মত তারকা গোলকিপারদের কোচিং করিয়েছেন। এরপরে ক্রিস্ট্যাল প্যালেসের সিনিয়র দলের দায়িত্বে আসেন। স্টিভ কিম্বারের অধীনে ক্লাবের একাডেমি কোচও হন।
২০০৭-এ চেলসিতে যোগ দেওয়ার আগে ৫৬ বছরের ক্লিভলি টটেনহ্যাম হটস্পারের একাডেমির গোলকিপার কোচ ছিলেন চার বছর। একাডেমির সঙ্গে সিনিয়র দলেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ইংরেজ কোচের কেরিয়ারের সবথেকে বর্ণময় অধ্যায় চেলসিতে। যেখানে তিনি পের চেক, কার্লো কুদিসিনি, হিলারিওদের মত সুপারস্টারদের কোচিং করান। ২০২০-এ বাংলাদেশে কোচিং করানোর আগে কারশার্লটন একাডেমির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেল বস্কি-বেনিতেজের ‘বন্ধু’, ভিয়া-সিলভাদের কোচকে সহকারী বাছল ইস্টবেঙ্গল
ফুটবল কেরিয়ারে গ্রেট পিটার শিল্টনের সতীর্থ ছিলেন সাউদাম্পটনে। ক্রিস্ট্যাল প্যালেস এবং নটস কাউন্টির হয়ে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের নন-লিগ ফুটবলে সিনিয়র পর্যায়ে ১০০০-এর বেশি ম্যাচে খেলেছেন। ফার্নবারো টাউন, কারশার্লটন এথলেটিক, সাটন ইউনাইটেডের জার্সিতে খেলেছেন।
ঘটনাচক্রে ক্লিভলি ইস্টবেঙ্গলে ববি মিমসের স্থলভিষিক্ত হলেন। ফাউলারের জমানায় গোলকিপার কোচ ছিলেন ববি মিমস। ববি মিমস আবার বাংলাদেশে ক্লিভলির ছেড়ে যাওয়া পদে নিযুক্ত হয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন