শচীনের রেকর্ড ভাঙলেন, তা-ও আবার লারা-ভিভের দেশে গিয়ে। ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী তারকা হিসেবে দ্রুত উঠে আসছেন শেফালি ভার্মা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমেই নজির গড়লেন তিনি। ১৫ বছরের তারকা ৪৯ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন। শেফালির ইনিংস সাজানো হাফডজন বাউন্ডারি ও চারটে বিশাল ছক্কায়।
আর হাফসেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গেই শচীনের রেকর্ড ভেঙে ফেললেন তিনি। সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে হাফসেঞ্চুরি করার নজির ছিল শচীনের। লিটল মাস্টার যেদিন প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন, সেসময় তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর ২১৪ দিন। শেফালি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিংয়ে তুলোধোনা করে যেদিন অর্ধশতরান করলেন, সেদিন তাঁর বয়স ১৫ বছর ২৮৫ দিন।
সবমিলিয়ে পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেফালি দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন।
শেফালি এদিন স্মৃতি মন্ধানার সঙ্গে ১৪৩ রানের পার্টনারশিপ গড়লেন। টি২০ ক্রিকেটে যা ভারতীয় মহিলা দলের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। এর আগে সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপের নজির ছিল ২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে করা পুনম রাওয়াত এবং থিরুশ কামিনীর ১৩০ রানের রেকর্ড জুটি। সবমিলিয়ে মহিলাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি অষ্টম সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ।
ম্য়াচে ভারত প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৫ রান তুলেছিল। শেফালির পাশাপাশি ব্য়াট হাতে সফল স্মৃতি মান্ধানাও। ৪৬ বলে ৬৭ রানের স্মৃতির ইনিংস সাজানো ১১টি বাউন্ডারিতে। ক্য়ামিও ইনিংসে সফল হরমনপ্রীত কউর এবং ভেদা কৃষ্ণমূর্তি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেটে হারাতে থাকে। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ান মহিলা ক্রিকেটাররা ১০১ রানের বেশি করতে পারেনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর শিমাইন ক্যাম্বেলের ৩৪ বলে ৩৩ রান। ভারতের হয়ে শিখা পাণ্ডে, রাধা যাদব এবং পুনম যাদব দুটো করে উইকেট নেন।
Read the full article in ENGLISH