Afridi cousin Hizbul Mujahideen: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে ভারতীয় সেনাকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। আর তাতেই ভারতীয়দের রোষানলে পড়েছেন আফ্রিদি। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বরাবরই কুখ্যাত আফ্রিদি। এবার তিনি পহেলগাঁও হামলা নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করেছেন। যখন গোটা ভারত এই হামলায় নিহত ২৬ জন নিরীহ মানুষের জন্য কাঁদছে, তখন আফ্রিদির মন্তব্য ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সংবেদনশীল ইস্যুতে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। যা মানুষের মনের ক্ষততে নুনের ছিটে দিয়েছে। আফ্রিদি ভারতের কাছে প্রমাণ চেয়েছেন যে এই হামলায় পাকিস্তানের কোনওরকম হাত আছে কি না। এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আফ্রিদিকে তুলোধনা করছেন সবাই। ব্যাপক ট্রোলড হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক।
আফ্রিদির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সাংবাদিকরা ওয়েইসির কাছে এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি আফ্রিদিকে জোকার তকমা দিয়ে বলেন, ওঁর নাম নেবেন না। সেইসঙ্গে তিনি ভারত সরকারের কাছে আবেদন রাখেন, পাকিস্তানকে ফের FATF ধূসর তালিকায় রাখা হোক।
আরও পড়ুন 'আমাকে মুসলিম হওয়ার জন্য...', আফ্রিদির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ পাক হিন্দু ক্রিকেটারের
নেটদুনিয়ায় আফ্রিদির মুণ্ডপাত জারি রয়েছে। অনেকে এও বলছেন, আফ্রিদির উগ্রপন্থীদের প্রতি এতই দরদ এবং ভারতের প্রতি এত ঘৃণা কারণ তাঁর নিজের তুতো ভাই একজন সন্ত্রাসী। যাঁকে ভারতীয় সেনা নিকেশ করেছে। নেটিজেনরা এটাও দাবি করেছেন যে, আফ্রিদির সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
এই দাবি কি আদৌ সত্যি?
ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিদির তুতো ভাই শাকিবকে ২০০৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অনন্তনাগে এক এনকাউন্টারে বিএসএফ খতম করেছিল। বিএসএফ-এর দাবি, শাকিব হিজবুল মুজাহিদিনের একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ছিল। যাঁর সম্পর্ক ছিল লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে। বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি থেকে জানা যায়, শাকিব আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিল।
আফ্রিদি অস্বীকার করেছিলেন
একবার মিডিয়া এই নিয়ে প্রশ্ন করায় অস্বীকার করেছিলেন আফ্রিদি। তখন বলেছিলেন, পাঠানদের পরিবার অনেক বড় হয় এবং তিনি তাঁর সব তুতো ভাইদের চেনেন না। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিদি জনজাতির সম্পর্ক কাশ্মীরের সঙ্গে রয়েছে একথা ইতিহাসই বলছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান আফ্রিদি-সহ অন্য জনজাতির যোদ্ধাদের পাঠিয়ে কাশ্মীর দখল করার চেষ্টা করেছিল। এই যুদ্ধবাজদের অর্থ এবং নারীর লালসা দেওয়া হত। কাশ্মীরে লুঠপাট এবং মহিলাদের হেনস্থার ঘটনার বহু ইতিহাস রয়েছে।
আরও পড়ুন 'নিজেরাই মানুষ মারে আর...!' ফের মুখ খারাপ আফ্রিদির, Video-তে ভারতীয় সেনাকে কুৎসিত আক্রমণ
এই আক্রমণের পর রাজা হরি সিং ভারত সরকারের সাহায্য চায় এবং ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করে সেনা মোতায়েন করে। এর পর ভারতীয় সেনা এই গেরিলা যোদ্ধাদের খেদিয়ে দেয়। এই কারণেই নেটিজেনরা জোর সওয়াল করছেন যে আফ্রিদির বার বার কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য কোনও রাজনৈতিক চর্চা নয়, বরং পারিবারিক এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন 'পহেলগাঁও হামলার প্রমাণ দাও...', নির্লজ্জের মতো মন্তব্য শাহিদ আফ্রিদির
Shahid Afridi Cousin: হিজবুল জঙ্গি ছিল ভাই! পহেলগাঁও হামলা নিয়ে কুমন্তব্যের পরই আফ্রিদির পর্দাফাঁস
Shahid Afridi Pahalgam attack comments: আফ্রিদি ভারতের কাছে প্রমাণ চেয়েছেন যে এই হামলায় পাকিস্তানের কোনওরকম হাত আছে কি না। এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আফ্রিদিকে তুলোধনা করছেন সবাই। ব্যাপক ট্রোলড হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক।
Shahid Afridi Pahalgam attack comments: আফ্রিদি ভারতের কাছে প্রমাণ চেয়েছেন যে এই হামলায় পাকিস্তানের কোনওরকম হাত আছে কি না। এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আফ্রিদিকে তুলোধনা করছেন সবাই। ব্যাপক ট্রোলড হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক।
Afridi Kashmir comments backlash: পহেলগাঁও হামলায় ভারতীয় সেনাকে নিশানা করেছেন শাহিদ আফ্রিদি
Afridi cousin Hizbul Mujahideen: পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে ভারতীয় সেনাকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। আর তাতেই ভারতীয়দের রোষানলে পড়েছেন আফ্রিদি। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বরাবরই কুখ্যাত আফ্রিদি। এবার তিনি পহেলগাঁও হামলা নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করেছেন। যখন গোটা ভারত এই হামলায় নিহত ২৬ জন নিরীহ মানুষের জন্য কাঁদছে, তখন আফ্রিদির মন্তব্য ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
সংবেদনশীল ইস্যুতে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। যা মানুষের মনের ক্ষততে নুনের ছিটে দিয়েছে। আফ্রিদি ভারতের কাছে প্রমাণ চেয়েছেন যে এই হামলায় পাকিস্তানের কোনওরকম হাত আছে কি না। এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আফ্রিদিকে তুলোধনা করছেন সবাই। ব্যাপক ট্রোলড হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক।
আফ্রিদির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সাংবাদিকরা ওয়েইসির কাছে এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি আফ্রিদিকে জোকার তকমা দিয়ে বলেন, ওঁর নাম নেবেন না। সেইসঙ্গে তিনি ভারত সরকারের কাছে আবেদন রাখেন, পাকিস্তানকে ফের FATF ধূসর তালিকায় রাখা হোক।
আরও পড়ুন 'আমাকে মুসলিম হওয়ার জন্য...', আফ্রিদির বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ পাক হিন্দু ক্রিকেটারের
নেটদুনিয়ায় আফ্রিদির মুণ্ডপাত জারি রয়েছে। অনেকে এও বলছেন, আফ্রিদির উগ্রপন্থীদের প্রতি এতই দরদ এবং ভারতের প্রতি এত ঘৃণা কারণ তাঁর নিজের তুতো ভাই একজন সন্ত্রাসী। যাঁকে ভারতীয় সেনা নিকেশ করেছে। নেটিজেনরা এটাও দাবি করেছেন যে, আফ্রিদির সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
এই দাবি কি আদৌ সত্যি?
ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিদির তুতো ভাই শাকিবকে ২০০৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অনন্তনাগে এক এনকাউন্টারে বিএসএফ খতম করেছিল। বিএসএফ-এর দাবি, শাকিব হিজবুল মুজাহিদিনের একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ছিল। যাঁর সম্পর্ক ছিল লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে। বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি থেকে জানা যায়, শাকিব আফ্রিদির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিল।
আফ্রিদি অস্বীকার করেছিলেন
একবার মিডিয়া এই নিয়ে প্রশ্ন করায় অস্বীকার করেছিলেন আফ্রিদি। তখন বলেছিলেন, পাঠানদের পরিবার অনেক বড় হয় এবং তিনি তাঁর সব তুতো ভাইদের চেনেন না। ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী, আফ্রিদি জনজাতির সম্পর্ক কাশ্মীরের সঙ্গে রয়েছে একথা ইতিহাসই বলছে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান আফ্রিদি-সহ অন্য জনজাতির যোদ্ধাদের পাঠিয়ে কাশ্মীর দখল করার চেষ্টা করেছিল। এই যুদ্ধবাজদের অর্থ এবং নারীর লালসা দেওয়া হত। কাশ্মীরে লুঠপাট এবং মহিলাদের হেনস্থার ঘটনার বহু ইতিহাস রয়েছে।
আরও পড়ুন 'নিজেরাই মানুষ মারে আর...!' ফের মুখ খারাপ আফ্রিদির, Video-তে ভারতীয় সেনাকে কুৎসিত আক্রমণ
এই আক্রমণের পর রাজা হরি সিং ভারত সরকারের সাহায্য চায় এবং ভারতের সঙ্গে সমঝোতা করে সেনা মোতায়েন করে। এর পর ভারতীয় সেনা এই গেরিলা যোদ্ধাদের খেদিয়ে দেয়। এই কারণেই নেটিজেনরা জোর সওয়াল করছেন যে আফ্রিদির বার বার কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য কোনও রাজনৈতিক চর্চা নয়, বরং পারিবারিক এবং ঐতিহাসিক সম্পর্কের ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন 'পহেলগাঁও হামলার প্রমাণ দাও...', নির্লজ্জের মতো মন্তব্য শাহিদ আফ্রিদির