রবিবারের মেগা ব্রিগেডে মোদির সঙ্গে তাঁকে একই মঞ্চে দেখতে উদগ্রীব বিজেপি নেতৃত্ব। বারবারই বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা বলছেন, ব্রিগেডের মঞ্চেই আসতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে বোর্ড সভাপতি মেগা ব্রিগেডের আগেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দিলেন, "সবাই সবকিছুর জন্য হয় না।" রাজনীতিতে সরাসরি যোগ দিচ্ছেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতি এই বিষয়েই উত্তাল।
তারপরেই একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মহারাজ জানিয়ে দিলেন আসল ব্যাপার। বিজেপি নেতৃবৃন্দের আশা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই মঞ্চে মহারাজকে হাজির করাতে পারলে সভার আকর্ষণ বহুগুণ বেড়ে যেত। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকেও বড়সড় ধাক্কা দেওয়া যেত। বিজেপির অন্যান্য সভার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ব্রিগেড আগমনকে আলাদা করে রাখা হচ্ছে। সৌরভ বোর্ড সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছেই। তার ওপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র বোর্ড সচিব জয় শাহের সখ্যতা কারোর অজ্ঞাত নয়।
আরো পড়ুন: আন্ডারসনকে ‘পাড়ার বোলার’ বানিয়ে ‘পাগলু’ শট! পন্থের কাণ্ডে কুর্নিশ বিশ্বের, দেখুন ভিডিও
তবে এতদিন সরাসরি রাজনীতির ছোঁয়াচ বাঁচিয়েই চলেছেন বাংলার তারকা আইকন। সৌরভ নিজেকে বরাবরই ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়া প্রশাসক হিসাবেই নিজেকে দেখতে চান। সৌরভ ঘনিষ্ট শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে বলেছেন, "সৌরভের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। আমাকে বলেছে বর্তমানে ও যা করছে তাতেই ও সন্তুষ্ট। রাজনীতিতে ও যোগ দিচ্ছে না।"
বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বেরও ব্রিগেডে সৌরভের আগমন নিয়ে কোনো বার্তা নেই। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, "ব্রিগেডে উনি আসবেন কিনা, তা নিয়ে আমাদের কাছে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে উনি যদি আসেন, তাহলে আমরা স্বাগত জানাবো।" রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আবার বলেছেন, "সৌরভ নিজের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে গিয়েছেন। যদি উনি ব্রিগেড আসেন, তাহলে ওঁরবিষয়টি ভালোই লাগবে। জনতাও সেটাই চান। তবে এই বিষয়ে ওঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।" রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, "আমার কোনো ধারনাই নেই। উনি কিছুই বলেননি।"
আরো পড়ুন: পন্থের ব্যাটিং চমকে দিল সৌরভকে! সর্বকালের সেরা, বলে দিচ্ছেন বাঙালি কিংবদন্তি
সৌরভ একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকরে বরং বলে দিয়েছেন, "আমি মাঠের লোক। ক্রিকেট সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই প্ৰশ্ন করা হোক।"
সৌরভ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তবে এখনো বিজেপি নেতৃত্ব মিরাকেলের প্রত্যাশায়। তাঁদের অনেকেই মনে করছেন, হয়ত শেষ মুহূর্তে সকলকে চমকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজির হয়ে যাবেন তিনি। সেই আশাতেই দিন গুনছেন বিজেপি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন