Terror attack on Sri Lanka team: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার জেরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB) শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে, পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL)-এর বাকি থাকা ম্যাচগুলো এখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) অনুষ্ঠিত হবে। শুরুতে রাওয়ালপিণ্ডি, মুলতান ও লাহোরে খেলার পরিকল্পনা থাকলেও, বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে টুর্নামেন্ট স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পিসিবির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “শেষ আটটি ম্যাচ UAE-তে অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচের নির্দিষ্ট সময়সূচি খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে।” পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি অভিযোগ করেছেন, “ভারত PSL ব্যাহত করতে রাওয়ালপিণ্ডি স্টেডিয়ামে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল।” তিনি আরও বলেন, “বিদেশি খেলোয়াড়রা এখন পাকিস্তানে থাকতে অনিচ্ছুক, তাই টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিতে হয়েছে।”
আরও পড়ুন 'ঢের হয়েছে, এবার যুদ্ধের জন্য তৈরি হও!', পাকিস্তানকে খুল্লামখুল্লা চ্যালেঞ্জ ধাওয়ানের
এই নিরাপত্তাজনিত শঙ্কার পেছনে অতীতের ভয়াবহ ঘটনা অন্যতম কারণ। ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফরে থাকা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বাসে লাহোরে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছিল। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলা শুরু হওয়ার তৃতীয় দিনে, গদ্দাফি স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় কয়েকজন মুখোশধারী জঙ্গি হঠাৎ বাসে গুলি চালাতে শুরু করে। এমনকি রকেট লঞ্চারও ব্যবহার করা হয়। ওই সময় নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না, যার ফলে শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় গুরুতরভাবে আহত হন।
আরও পড়ুন 'প্রথমে দেশ, তারপর সবকিছু...', IPL স্থগিত হতেই সেনাবাহিনীকে 'সেলাম' চেন্নাই সুপার কিংসের
কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনে, থিলান সমারাবীরা, অজন্তা মেন্ডিস, থারাঙ্গা পারানাভিতানা এবং চামিন্ডা ভাস গুরুতর চোট পান। তবে সেই মুহূর্তে বাসচালক মহম্মদ খলিল অসাধারণ সাহসিকতা দেখান। গোলাগুলির মধ্যেই তিনি খেলোয়াড়দের নিয়ে বাস চালিয়ে সরাসরি গদ্দাফি স্টেডিয়ামে পৌঁছান। প্রায় ২০ মিনিট ধরে সাহসিকতার সঙ্গে বাস চালিয়ে খেলোয়াড়দের প্রাণ বাঁচান। পরে আহত খেলোয়াড়দের স্টেডিয়াম থেকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট টিম সফর বাতিল করে দেশে ফিরে যায়।