তিন দশক আগে সুনীল গাভাসকারকে জমি দেওয়া হয়েছিল বান্দ্রায়। ইন্ডোর ক্রিকেট অ্যাকাডেমি নির্মাণের উদ্দেশ্য়ে দেওয়া প্রায় সাড়ে ২১ হাজার স্কোয়্যার ফুটের সেই জমিই এবার ফিরিয়ে নিতে চায় মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক মিলিন্দ মাহিষ্কর জানান, সরকারের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, যেন গাভাসকারের ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সেই চুক্তি বাতিল করা হয়।
কেন তড়িঘড়ি এই বাতিল প্রক্রিয়া? মিলিন্দ মাহিষ্কর জানিয়েছেন, "৩১ বছর আগে জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে অ্যাকাডেমি গঠনের কাজ এখনও শুরু করা হয়নি। সেই কারমে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যেন জমি অধিগ্রহণ করে নেওয়া হয়।" গাভাসকার অবশ্য এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
সরকারি নথি বলছে, বান্দ্রায় এমএইচএডিএ-র তরফে রাঙ্গসারদা অডিটরিয়ামের কাছে এই জমি সুনীল গাভাসকারের সংস্থাকে লিজে দেওয়া হয়েছিল। তারপরে ১৯৯৯, ২০০২, ২০০৭ সালে একাধিকবার জমি সংক্রান্ত নিয়মকানুন বদল করা হয়েছে। তারপরেও গাভাসকারের সংস্থার তরফে কোনও পরিকাঠামোগত কাজ শুরু করা হয়নি।
চলতি মাসের ২৪ তারিখেই গাভাসকার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তাঁর বাসভবন মাতোশ্রীতে। সেই বৈঠকে দু-জনের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এমএইচএডিএ-র জমি পুনর্দখলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি দিয়েছেন।
সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘গাভাসকারের ক্রিকেটীয় দক্ষতা, জ্ঞান নিয়ে নিয়ে আমরা গর্বিত। কিন্তু জমি দেওয়ার পরে তিন দশক পেরিয়ে গেলেও তার কাজ শুরু হয়নি। অতিরিক্ত বিলম্বের পরে মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট যদি সেই জমিতে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি তৈরির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে তা হলে তাকে আমি সমর্থন জানাচ্ছি।’’
জমি লিজে দেওয়ার অন্যতম শর্তই ছিল, তিন মাসের মধ্যে পরিকাঠামোগত কাজ শুরু করতে হবে। এবং তিন বছরের মধ্যে সেই কাজ ফিনিশ করতে হবে। শর্তাবলী মেনে সরকার ৬০ বছরের লিজে জমি দিয়েছিল গাভাসকারের সংস্থাকে। সেখানে হেলথ ক্লাব, ফিটনেস সেন্টার, জিমন্যাশিয়াম, সুইমিং পুল, স্কোয়্যাশ কোর্ট, ক্রিকেটারদের আবাসন সহ ক্রিকেট অ্যাকাডেমি তৈরির কথা।
পাশাপাশি বানিজ্যিকভাবে প্লটের একটি অংশ সংস্থার ব্যবহার করার অনুমতিও ছিল। তবে এতদিনেও শুরু হয়নি তা। তাই অধিগ্রহণের পরিকল্পনা মহারাষ্ট্র সরকারের।
Read the full article in ENGLISH