দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০৫/৫
বাংলাদেশ: ১০১/১০
প্ৰথম ম্যাচে জিম্বাবোয়ের সঙ্গে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে হয়েছিল। সেই আক্ষেপের আঁচে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ম্যাচে ধ্বংস করে দিল বাংলাদেশকে। ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারানোর পথে কার্যত ছেলেখেলা করল প্রোটিয়াজরা।
প্ৰথমে ব্যাট করে রিলি রসৌ এবং কুইন্টন ডিককের রেকর্ড গড়া ১৬৮ রানের পার্টনারশিপে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৫/৫ তুলেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ খতম মাত্র ১০১ রানে। ১৬.৩ ওভারেই অলআউট বিশ্বক্রিকেটের সিংহরা। টসে জিতে সিডনিতে প্ৰথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাওয়ার প্লে-তে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়েছিল। ফের পয়েন্ট হারানোর আশঙ্কায় ভুগছিল প্রোটিয়াজরা। তবে খেলা শুরু হতে নিজেদের সেরা ফর্মের ঝলকানিই দেখিয়ে যান প্রোটিয়াজরা।
আরও পড়ুন: আইরিশ আগুনে দগ্ধ ইংল্যান্ড! অঘটনের বিশ্বকাপে লজ্জায় ডুবল স্টোকস-বাটলাররা
প্ৰথমেই বাভুমাকে হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তারপরে ডিকক এবং রিলি রসৌ ১৬৮ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন। টি২০-তে দক্ষিণ আফ্রিকার এটাই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ২০০৭ বিশ্বকাপে হার্শেল গিবস এবং জাস্টিন কেম্প ১২০ রানের জুটি গড়েছিলেন। ২০২১-এ ভারতের বিপক্ষে বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানও ১৫২ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপ মেলে ধরেন।
সেই সব পুরোনো রেকর্ড ছারখার করে দেন রিলি রসৌ এবং ডিকক। রিলি রসৌ শেষ পর্যন্ত ৫৬ বলে ১০৯ করে যান। সাত বাউন্ডারির সঙ্গে আট-আটটা বিরাট ছক্কাও হাঁকিয়ে যান। অন্যদিকে ডিকক ৩৮ বলে ৬৩ করার পথে সাতটা বাউন্ডারি, তিনটে ওভার বাউন্ডারি হাঁকান।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে চরম অবিচারের শিকার ভারত! সরাসরি নালিশ জানানো হল আইসিসিকে
ডিকক-রসৌ জুটিতে শেষমেশ ভাঙন ধরান আফিফ হোসেন। তবে তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় রান তোলা আটকায়নি। রসৌই চলতি বিশ্বকাপের প্ৰথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গেলেন। রানের বিচারে এটাই আবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টি২০ পরাজয়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্ৰথম থেকেই বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেন আনরিখ নর্জে। তৃতীয় ওভারেই দুই ওপেনার শান্ত এবং সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে যে ধাক্কা দিয়েছিলেন, সেই বিপর্যয় থেকে তারপর আর বেরোতে পারেনি বাংলাদেশ। লিটন দাস একপ্রান্ত আগলে কোনওরকমে ৩১ বলে ৩৪ করলেও বাকিরা শোচনীয় ব্যর্থ। বাংলাদেশ ইনিংসে দুই অংকের রান পেয়েছেন মাত্র চারজন। এর মধ্যে কুড়ির গন্ডি পেরোনোর সংখ্যা মাত্র একজনের। নর্জে ৩.৩ ওভারে ১০ রান খরচ করার ফাঁকে তুলে নেন চার-চারটে উইকেট।