কোহলি-অনুষ্কার বেডরুমের ছবি ফাঁস! বিরাট রাগে বিশ্বকাপের মাঝেই হুলুস্থূল, দেখুন ভিডিও

ভারতের সেমিফাইনালে ওঠা এখনও নিশ্চিত নয়। ২৪ ঘন্টা আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারতে হয়েছে। তবে সেই হারের রেশ মেটার আগেই এবার ক্ষুব্ধ কোহলি-অনুষ্কা। এক সমর্থক বিরাট কোহলির হোটেল রুমে ঢুকে সেই ছবি শেয়ার করেছিলেন। এতেই ক্ষিপ্ত কোহলি-অনুষ্কা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। কড়াভাবে জানিয়ে দেন গোটা ঘটনায় তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে।

সেই ভিডিও শেয়ার করে ক্ষুব্ধ কোহলি সরাসরি লেখেন, "সমর্থকরা নিজেদের প্রিয় ক্রিকেটারদের দেখতে পেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন, খুশি হন। এটা বোধগম্য। প্রিয় তারকাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তাঁরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। এই বিষয় বরাবর আমি ভালোভাবে নিয়েছি। তবে এই ভিডিও রীতিমত আতঙ্কের। এতে আমি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমত চিন্তিত হয়ে পড়েছি। যদি আমি আমার হোটেল রুমেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করি, তাহলে ব্যক্তিগত স্পেস খোঁজার জন্য কোথায় যেতে হবে? এরকম পাগলামি একদমই অপছন্দের। দয়া করে সকলের নিরাপত্তা বজায় রাখুন। স্রেফ তাঁদের বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেখবেন না।"

আরও পড়ুন: একী পারফরম্যান্স কোহলির! মাঠেই বিরক্তি প্রকাশ রোহিত-অশ্বিনের, দেখুন বিষ্ফোরক ভিডিও

কোহলির সুরেই সুর মিলিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনুষ্কা শর্মা। সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ স্ক্রিনশট শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন, "অতীতেও বেশ কয়েকবার এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি, যেখানে সমর্থকরা সহানুভূতি, মর্যাদা দেখাননি, তবে এটা ভীষণই খারাপ দৃষ্টান্ত। পুরোপুরি লজ্জার, মানুষ হওয়ার সমস্ত নিয়ম কানুনের লঙ্ঘন। অনেকেই এমন ঘটনা দেখে ভাবছেন, সেলেব হলে এরকম ঘটনা তো ঘটবেই। তাঁদের বলছি, তোমরাও এই সমস্যার অংশ। আত্ম-নিয়ন্ত্রণ অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। যদি এটা নিজেদের বেডরুমে ঘটত, তাহলে সীমারেখা কোথায়?"

আরও পড়ুন: ভারতের হারে বুক শুকিয়ে গেল পাকিস্তানের! এখনই কি দেশে ফেরার টিকিট কাটতে হবে বাবরদের

বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা বরাবরই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা নিয়ে সচেতন। এমনকি বিরুষ্কা জুটি মিডিয়ার কাছে আবেদন রেখেছেন তাঁদের কন্যা ভামিকার ছবি যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করা হয়। জানিয়েছেন, উপযুক্ত বয়স হলে তখনই কন্যার ছবি সামনে আনবেন দুজনে।

মেয়ের জন্মের পর সেলেব জুটি আবেদন করেন, "আমরা এই বিষয়ে অনেক ভেবেছি। জনসমক্ষে মেয়েকে আমরা বড় করে তুলতে চাইনা। ছবি প্রকাশ করার বিষয়ে শিশুরাই যেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়। একজন শিশু যেন বাকিদের থেকে কোনওভাবেই আলাদা না হয়। এই নিয়ম ফলো করা কঠিন, তবে আমরা তা করতে প্রস্তুত।"