/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/29/tilak-varma-2025-09-29-00-48-52.jpg)
ভারতকে জেতানোর পর তিলক বর্মার উল্লাস
Tilak Varma: ২০২৫ এশিয়া কাপ ফাইনালে (Asia Cup 2025 Final) ভারত এবং পাকিস্তান (India vs Pakistan) খেলতে নেমেছিল। এই ম্য়াচে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বড় রান করতে ব্যর্থ হয়। পাকিস্তান মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ভারত লড়াকু ইনিংস উপহার দেয়। শেষপর্যন্ত ৫ উইকেটে এই ম্য়াচে জয়লাভ করে। ভারতের (Indian Cricket Team) এই জয়ের নেপথ্যে আসল নায়ক হলেন তিলক বর্মা। দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরির দৌলতে পাকিস্তানের উপর কার্যত 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' করেন তিনি। আর সেইসঙ্গে টিম ইন্ডিয়া নবমবার এশিয়া কাপ খেতাব জয় করে।
IND vs PAK Asia Cup Final Highlights: ভারতের হাতে 'বধ' পাকিস্তান, নবমবার এশিয়া কাপ জয় টিম ইন্ডিয়ার
ফাইনাল ম্য়াচে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর কার্যত উল্লাসে ফেটে পড়েন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। সোনি স্পোর্টস নেটওয়ার্কে তিনি কমেন্ট্রি করছিলেন। তিলকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন তিনি। বললেন, 'এই ম্য়াচে দুর্দান্ত ব্যাট করল তিলক বর্মা। হতে পারে, আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ও দুটো শতরান করেছে। তবে এই ম্য়াচে ওর ৬৯ রানের ইনিংসটা অনেক এগিয়ে রাখব। কারণ, প্রথম কথা তো এটা ফাইনালের মঞ্চ। দ্বিতীয় কথা, পাকিস্তানের মতো একটা বিপক্ষ দলের চাপ। এই দুটো চ্যালেঞ্জকে ও দুর্দান্তভাবে সামলে এই ইনিংসটা খেলেছে।'
ভারতের হাল ধরলেন তিলক বর্মা
প্রসঙ্গত, ফাইনাল ম্য়াচে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। একটা সময় তো ভারতীয় ক্রিকেট দল মাত্র ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেই তালিকায় নাম ছিল - অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল এবং সূর্যকুমার যাদবের। সেই জায়গা থেকেই টিম ইন্ডিয়ার হাল ধরলেন তিলক বর্মা। প্রথমে সঞ্জু স্যামসনের সঙ্গে ৫৭ রানের একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। তারপর শিবম দুবের সঙ্গে ৬০ রানের যুগলবন্দি। আর এই দুটো জুটিই টিম ইন্ডিয়াকে জয়ের সরণীতে নিয়ে আসে।\
IND vs PAK Asia Cup Final: ফের 'বেইজ্জত' পাকিস্তান, ফাইনালে মাস্টারস্ট্রোক সূর্যকুমারের!
বিরাটের সঙ্গে তিলকের তুলনা টানলেন ইরফান
ইতিমধ্যে, টিম ইন্ডিয়ার এই তরুণ ব্য়াটারের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা করলেন ইরফান পাঠান। তিনি বললেন, 'আজ তিলকের ব্যাটিং দেখে বিরাট কোহলির কথা খুব মনে পড়ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট এভাবেই শেষপর্যন্ত টিকে থাকতেন। ভারতকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়তেন। তিলকও আজ সেই দায়িত্বটাই পালন করল। এই ম্য়াচে ও আলাদা করে বাউন্ডারির জন্য দৌড়োয়নি। তবে যখনই দুর্বল কোনও ডেলিভারি পেয়েছে, তখনই সেটা থেকে রান করেছে। এটাই ওর সবথেকে বড় গুণ। তিলকের এই ইনিংসটা ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।'