মহিলাদের আইপিএল নিয়ে বেশ সমস্যায় বোর্ড। শোয়েব আখতার জানালেন পুরোনো স্মৃতি। সৌরভের মুখাপেক্ষী হুইলচেয়ার ক্রিকেট।
মহিলাদের আইপিএল
৪৮ ঘন্টা আগেই বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আশ্বস্ত করেছিলেন আইপিএল চলার সময়েই মহিলাদের আইপিএল অর্থাৎ চ্যালেঞ্জার্স ট্রফি খেলা হবে। তবে প্রশ্ন ওঠে গিয়েছে সেই টুর্নামেন্টের জন্য দল নির্বাচন কীকরে হবে। কারণ মহিলা ক্রিকেটের নির্বাচক প্যানেলের গত জানুয়ারিতেই মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। এরপর বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও এখনো সেই পদ ফাঁকাই রয়ে গিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, জাতীয় দলের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এমন ব্যক্তি যিনি ন্যূনতম পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন তাঁরা এই পোস্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পর মহামারী পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউ নিয়ে উঠতে পারেনি বোর্ড। যাইহোক চলতি বছরের মার্চেই পুরুষদের নির্বাচক প্যানেলে যোগ দেন আরপি সিং, সুলক্ষনা নায়েক এবং মদন লাল।
আরও পড়ুন
প্রবল চাপে সম্ভবত আইপিএল থেকে সরছে ভিভো
হেমলতা কালা, শশী গুপ্ত, অঞ্জলি পেনধরকর, লোপামুদ্রা বন্দোপাধ্যায় এবং সুধা শাহদের নির্বাচনী প্যানেল চ্যালেঞ্জার ট্রফির জন্য ২৫ জনের একটি স্কোয়াড গঠন করতেন। এদের মধ্যে ২২ জনই বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ। বাকি তিনজনকে পারফরম্যান্স এর ভিত্তিতে নেওয়া হত। গত মরশুমেই যেমন জম্মু কাশ্মীরের জেসিয়া আখতারকে নেওয়া হয়েছিল।
নভেম্বরে চ্যালেঞ্জার্স ট্রফি হওয়ার কারণে মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে পারবেন না স্মৃতি মন্ধ্যানা, ভেদা কৃষ্ণমূর্তি, হরমনপ্রিত কাউরের মত তারকা ক্রিকেটাররা। তবে ইতিমধ্যেই নিয়ম মেনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে ইমেল পাঠানো হয়েছে বিসিসিআইকে। তবে সূচির সংঘাত তৈরি হওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিবিএল এ এনওসি শংসাপত্র দেবে না বোর্ড।
এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে চলতি বছরের অক্টোবরেই ঘরে একটি আন্তর্জাতিক হোম সিরিজ আয়োজন করতে চায় বোর্ড। সেই কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে।
Read the full article in ENGLISH
শোয়েব আখতারের স্বীকারোক্তি
হরভজন সিং আর যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে রীতিমত কুস্তি করেছিলেন। সেই ঘটনা এবার স্মরণ করলেন শোয়েব আখতার। বিবিসির 'দুসরা' পডকাস্ট এ সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে পাক তারকা জানালেন, "ওটা মোটেই কুস্তি ছিল না। আমার স্নেহ প্রকাশের ভঙ্গি বরাবরই সকলের থেকে আলাদা। এই কারণে যুবরাজের পিঠ, আফ্রিদির পাঁজরে চোট দিয়ে ফেলেছিলাম। আব্দুর রাজ্জাকের হ্যামস্ট্রিং একটু বেশিই স্ট্রেচ করে ফেলি। নিজের ভালবাসা প্রকাশে আমি বরাবরই উগ্র ধরণের। আসলে আমি যাঁকে ভালোবাসি তাঁকে ছুঁড়েও ফেলে দি।"
ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে মারামারি করেননি, এমনটাই সাফ জানাচ্ছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। তিনি বলেছেন, "আমরা ঘোড়ার মত ছুটে বেড়াচ্ছিলাম। এবং নিজেদের মধ্যে কুস্তি করছিলাম। ভাজ্জি আর যুবি আমার ছোট ভাইয়ের মত।ওদের মারার প্রশ্নই নেই।"
এর পাশাপাশি আখতার স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি বরং দলের সতীর্থদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছিলেন। প্রাক্তন এই স্পিডস্টার জানিয়েছেন, "একবার থেকে দুবার মারামারিতে জড়াই। তবে সতীর্থদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভালো ছিল। পিসিবির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকলেও সতীর্থদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটিয়েছি।"
বিশ্বের দ্রুততম বোলার হওয়ার ঘটনাও সেই পডকাস্টে শেয়ার করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কেপটাউনে ১০০ মাইল গতিতে বল করেছিলেন। ব্যাটিং করছিলেন নিক নাইট।
শোয়েব বলছিলেন, "১০০ মাইল গতি ছোয়া আমার কাছে বড় কোনো বিষয় ছিল না। আসলে এটা ছিল মিডিয়া হাইপ আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গিমিক। নিজের হাড় ভেঙে দ্রুততম বল করার জন্য টাকা পাওয়ার কথা নয়। আমি খালি ভাবতাম, এটা আমাকে করতেই হবে। সেই কারণে বহুদিন ধরেই অনুশীলন শুরু করি।"
কীভাবে অনুশীলন শুরু করেছিলেন, সেকথাও জানিয়েছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস, "পিঠে ১৭০ কেজি বোঝা চাপিয়ে দৌড়তাম। প্রতি ১০০ স্প্রিন্টের পর ২০ কেজি করে ওজন কমাতাম। এছাড়াও ২৬ গজ দৌঁড়ে সাধারণ বলের থেকে বেশি ওজন নিয়ে বল করতাম।"
Read the full article in ENGLISH
সৌরভ ও হুইলচেয়ার ক্রিকেট
ভারতীয় ক্রিকেটার মানেই যে যে সৌভাগ্যবান, অনেক অর্থের অধিকারী এমনটা নাও হতে পারে। তেমনই প্রতিবন্ধী ক্রিকেটাররা। করোনা কালে ব্যাপক সমস্যার মুখে এই প্রতিবন্ধী ক্রিকেটাররা।
জাতীয় দলের উইকেটকিপার নির্মল সিং ধিলোঁ যেমন এখন পেট চালানোর তাগিদে দুধ বিক্রি করছেন। ফাস্ট বোলার সন্তোষ রংজাগানে আবার কোলাপুরের একটি ওয়ার্কশপে দুই চাকা গাড়ি সারিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। অনেকেই চাষ বাসের কাজে ফিরে গিয়েছেন। কেউ আবার কষ্ট করে শ্রমিকের কাজও করছেন। তারা আপাতত বেঁচে থাকার জন্য বোর্ড সভাপতি সৌরভের দিকে তাকিয়ে।
আরও পড়ুন
পরিচয়পত্র নিয়ে কলকাতার হুন্ডাই শোরুমে ‘চাকরি’ কুকুরের, প্রকাশ্যে আনলেন স্বস্তিকা
প্রত্যেকেই জাতীয় দলের জার্সিতে সাম্প্রতিক অতীতে সাফল্য এনে দিয়েছেন। তবে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের সংস্থা এখনও বোর্ডের আওতাধীন নয়।
হুইলচেয়ার ক্রিকেট সংস্থার চেয়ারম্যান সমজিৎ সিংয়ের সঙ্গে কিছুদিন আগেই একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছিল সৌরভের। সমজিৎ পিটিআইকে জানালেন, "সৌরভ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। হুইলচেয়ার ক্রিকেট নিয়ে কার্যত কোনো ধারণাই ছিল না সৌরভের। তবে আমরাও যে এত উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটের অংশ নিয়ে থাকি, তা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করছেন সৌরভ।"
বিসিসিআইয়ের তরফে মহিলা ক্রিকেটকে তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। সেই জন্যই আশাবাদী হুইলচেয়ারের প্রতিবন্ধী ক্রিকেটাররা। বিসিসিআইয়ের অনুমোদিত সংস্থা না হওয়ায় অধিকাংশ সময়ই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য নিজেদের অর্থ খরচ করেই খেলতে হয় সেই ক্রিকেটারদের।
বিসিসিআইয়ের তরফে যদি হুইলচেয়ার ক্রিকেটারদের সাহায্য করা হয়, তাহলে একইভাবে সাহায্য পাবে দৃষ্টিশক্তিহীন ক্রিকেটাররাও।
বোর্ড আপাতত এই ক্রিকেটারদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কিনা, সেটাই দেখার।
Read the full article in ENGLISH