কে হবেন ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ? এটাই এক লাখ টাকার প্রশ্ন। বিশ্বকাপের পরে বিসিসিআই আরও ৪৫ দিন চুক্তি বাড়িয়েছে টিম ইন্ডিয়ার সাপোর্টিং স্টাফেদের। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গেই ব্য়াটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার, বোলিং কোচ ভারত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর থাকছেন। কিন্তু এরপরেই একদম নতুন ইউনিট দেখা যেতে পারে ভারতীয় দলের সঙ্গে। এমনটাই সম্ভাবনা।
গত ১৬ জুলাই বিসিসিআই বিজ্ঞপ্তি মারফত জানিয়ে দিয়েছিল যে, টিম ইন্ডিয়ার সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ করা হবে। বিরাট কোহলির দলের জন্য় হেড কোচের পাশাপাশি ব্য়াটিং-বোলিং এবং ফিল্ডিং কোচ নেওয়া হবে। এর সঙ্গেই ফিজিওথেরাপিস্ট, স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশানিং কোচ এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ম্য়ানেজারের জন্য়ও আমন্ত্রণ জানিয়েছে বোর্ড।
আরও পড়ুন: এই তিন যোগ্য়তা থাকলেই হওয়া যাবে ভারতীয় দলের কোচ, জানিয়ে দিল বিসিসিআই
এই মুহূর্তে বিরাটদের কোচ হওয়ার প্রতিযোগিতায় রয়েছেন গ্য়ারি কার্স্টেন, মাহেলা জয়বর্ধনে এবং টম মুডি। বোর্ডের এক সূত্র মারফত এমনটাই জেনেছিল ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস। এই তিন জন ছাড়াও আরও দু'জনের নাম ভেসে আসছে। তাঁরা হলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ ও সাইমন কাটিচ। যদিও কপিল দেবের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
কোচ হওয়ার দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জয়বর্ধনে। ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার বাকি সকলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। ২০ হাজারের ওপর আন্তর্জাতিক রান রয়েছে মাহেলার। প্রাক্তন শ্রীলঙ্কার ক্য়াপ্টেন ২০১৫ সালে ইংল্য়ান্ডের ব্য়াটিং পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। সেসময় ইংল্যান্ড সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়েছিল। এরপর ২০১৭-তে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হেড কোচ হিসেবে যোগ দেন। রিকি পন্টিংয়ের জায়গায় আসেন তিনি। তাঁর কোচিংয়েই রোহিত শর্মার দল শেষ তিনবারের মধ্য়ে দু'বার আইপিএল জিতেছে। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব প্রত্য়াখান করেন তিনি।
এরপর আসছে কার্স্টেনের নাম। গ্রেগ চ্য়াপেলের বিতর্কিত অধ্য়ায়ের শেষে ভারতের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছিল প্রাক্তন প্রোটিয়া ক্রিকেটারের হাত ধরে। ২০০৮-২০১১ পর্যন্ত ভারতের কোচ ছিলেন তিনি। কার্স্টেনের কোচিংয়ে ভারত ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি একাধিক ট্রফি জেতে। এরপর ভারতের কোচের পদ থেকে সরে এসে দু'বছর দক্ষিণ আফ্রিকার কোচিং করান। এরপর ফের ভারতে এসে ২০১৪-১৫ মরসুমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের দায়িত্ব সামলান। ২০১৮ এবং ২০১৯-এ তাঁকে রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের কোচ হিসেবে পাওয়া গেছে। রমেশ পাওয়ারের পরিবর্তে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে কার্স্টেনের নাম শোনা যাচ্ছিল কিছুদিন আগে। কিন্তু ডব্লিউভি রমন পরে সেই দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে ইতিহাস, কোচের থেকে এই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পথে বিসিসিআই
প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার টম মুডি ২০০৫ সাল ভারতের কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু গ্রেগ চ্য়াপেলকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়দের মাথায় এনে বসায় বিসিসিআই। মুডি শ্রীলঙ্কার হেড কোচ হিসেবে তাদের ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিল। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। এরপর ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও বিগ ব্য়াশে কোচিং করান মুডি। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচিংও করান তিনি। ডেভিড ওয়ার্নারদের দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া মুডি আপাতত ফাঁকা। ফলে তিনিও কোচ হওয়ার দৌড়ে থাকছেন।