কে সত্যি বলছেন। কে-ই বা আবার মিথ্যা বলছেন। বুধবার কোহলির বিষ্ফোরক প্রেস কনফারেন্সের পরে ভারতীয় ক্রিকেটে মূল আলোচনা আপাতত এটাই। কয়েকদিন আগেই সৌরভ জানিয়েছিলেন, বোর্ডের তরফে কোহলিকে টি-২০ অধিনায়কত্ব ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল। সেই নিষেধ না শুনতেই ওয়ানডে থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বোর্ড।
তারপরে বুধবার কোহলির জ্বালাময়ী সাংবাদিক সম্মেলন। যেখানে আবার কোহলি জানিয়ে দিয়েছেন, বোর্ডের তরফে কোনওরকম যোগাযোগই করা হয়নি। বরং টি২০ নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরে তা সাদরে গ্রহণ করে বোর্ড।
আরও পড়ুন: সৌরভের বক্তব্য সরাসরি খন্ডন! ভারতীয় ক্রিকেটে দাবানল জ্বালিয়ে পাল্টা কোহলির
এমন বিধ্বংসী বয়ানের পরে তড়িঘড়ি মাঠে নামল বিসিসিআই। ইন্ডিয়া টুডে-কে বোর্ডের এক শীর্ষকর্তা সাফ জানিয়ে দিলেন, "বিরাট কোহলি মোটেই বলতে পারবে না, ওঁকে না জানিয়ে কিছু করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে বিরাটের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। টি২০ নেতৃত্ব যাতে ও না ছেড়ে দেয়, তা বোঝানো হয়েছিল। একবার বিরাট টি২০ অধিনাকত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে সাদা বলের ক্রিকেটে জোড়া অধিনায়ক রাখা সম্ভব হয়নি। আর চেতন শর্মা মিটিংয়ের দিন সকালে জানায় ওডিআই থেকে ওঁকে সরানো হচ্ছে।"
কোহলি নিজের সাংবাদিক সম্মেলনে কার্যত অভিযোগের সুরে বলেছেন, বোর্ডের তরফে সেভাবে যোগাযোগই করা হয়নি তাঁর সঙ্গে। কোহলির বক্তব্য, "প্রথমে টি২০-র অধিনায়কত্ব ছাড়া নিয়ে যখন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়, সেই সময় নিজের পরিকল্পনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিই। কেন এমন সিদ্ধান্ত, সেটাও জানাই। সাদরে আমার বক্তব্য মেনে নেওয়া হয়েছিল। কোনও সমস্যা হয়নি। কেউ ইতস্তত বোধ করেনি।"
আরও পড়ুন: রোহিত-কোহলি সম্পর্ক নিয়ে বেনজির গুঞ্জন! শেষমেশ মুখ খুললেন বিরাট
"আমি তখন বোর্ডকে সাফ জানাই, ওয়ানডে এবং টেস্টে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চাই। সেই সময় আমি এমনও বলেছিলাম, নির্বাচকরা যদি আমাকে বাকি দুই ফরম্যাটের একটিতে অধিনায়কত্ব না রাখতে চায়, সমস্যা নেই। আমার টি২০ অধিনায়কত্ব নিয়ে এভাবেই বোর্ডের সঙ্গে আমার কথা হয়।"
"বোর্ডের সঙ্গে এরপরে আর যোগাযোগ হয়নি আমার। আমি বিশ্রামও চেয়েছিলাম। আমার সঙ্গে মিটিংয়ের ঠিক দেড় ঘন্টা আগে যোগাযোগ করা হয়। সত্যি কথা বলতে আর কোনও কমিউনিকেশন হয়নি দুই পক্ষের। তারপরে পাঁচ জনের নির্বাচক আমাকে জানায় আমি আর ওয়ানডে ক্যাপ্টেন থাকছি না। যেটায় কোনও সমস্যা নেই।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন