Mohammad Kaif On Virat Kohli Test Retirement: বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রিকেট দুনিয়া তোলপাড়। ভারতীয় ক্রিকেট টিমের দুই স্টার ব্যাটার রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। বিশেষ করে বিরাটের অবসরের সিদ্ধান্ত হইচই ফেলে দিয়েছে। আমচকা টেস্ট ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার সিদ্ধান্তে কোটি কোটি ভক্ত হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এর মধ্যেই বোমা ফাটিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ। বিরাট কোহলির অবসর নিয়ে তাঁর দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
মহম্মদ কাইফ দাবি করেছেন, বিসিসিআই এবং সিলেক্টরদের সমর্থন পাননি বিরাট। যা তিনি আশা করেছিলেন। এই কারণেই তিনি টেস্ট ক্রিকেটকে আলভিদা জানিয়েছেন।
ভারতের হয়ে ১২৩টা টেস্ট খেলে ৯,২৩০ রান করেছেন বিরাট। গড় ছিল প্রায় ৪৭। গত ১২ মে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন কোহলি। বিরাটের এই সিদ্ধান্ত আসে রোহিতের টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার ৫ দিন পর। কাইফ বলেছেন, 'আমার মনে হয়, বিরাট টেস্টে খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। বোর্ডের সঙ্গে হয়তো কিছু কথাবার্তা হয়েছিল। সিলেক্টররা শেষ ৫-৬ বছরে তাঁর ফর্ম দেখে হয়তো বিরাটকে জানান, তাঁর জন্য টেস্ট টিমে আর জায়গা নেই। যদিও আমরা কখনওই জানতে পারব না কী কথা হয়েছিল। পর্দার আড়ালে কী হয়েছিল তার অনুমান করা খুবই কঠিন।'
আরও পড়ুন বিরাটের জন্য বুক ফাটা কান্না জাভেদের, কোহলির কাছে কী বিশেষ আবদার কিংবদন্তির?
কাইফ আরও বলেছেন, 'তবে শেষ মিনিটের সিদ্ধান্ত দেখে আর যেভাবে বিরাট রঞ্জি ট্রফি খেলতে নেমেছিলেন সেটা দেখে মনে হচ্ছে, তিনি টেস্টে ফর্মে ফিরতে চেয়েছিলেন। গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলি দেখে মনে হচ্ছে, তিনি বিসিসিআই আর নির্বাচকদের সমর্থন পাননি, যেটা তিনি আশা করেছিলেন।'
শেষ কয়েক বছর টেস্টে খারাপ ফর্ম চলছিল বিরাটের। ২০২৪-২৫ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি সিরিজে ৯ ইনিংসে ১৯০ রান করেছিলেন কোহলি। প্রথম ম্যাচ জিতেও সিরিজ ৩-১ হারে ভারত। ওই ১৯০ রানের মধ্যে পার্থে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংসও রয়েছে। কাইফের মনে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় রান করার তাড়াহুড়োয় কোহলির টেস্ট কেরিয়ারে দ্রুত দাঁড়ি পড়ল।
আরও পড়ুন বিরাটকে জীবনের সেরা উপদেশ প্রেমানন্দ মহারাজের, জীবন দর্শনই পাল্টে গেল কোহলির
কাইফ আরও বলেছেন, 'বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে দ্রুত রান করার চেষ্টায় ছিলেন কোহলি। টেস্ট ক্রিকেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রিজে পড়ে থাকতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়। যা আগে বিরাট করেছেন। বলকে ড্রাইভ করার চেষ্টায় বার বার ব্যাটের কোণায় লেগে ক্যাচ আউট হওয়া, দেখেই মনে হচ্ছিল কোথাও বিরাটের ধৈর্যের অভাব হচ্ছিল। হয়তো তিনি ভাবছিলেন, কেরিয়ারের শেষ লগ্নে রয়েছেন তিনি। একটা কঠিন সেঞ্চুরি করার কী ফায়দা। আগে তাঁর ধৈর্য অন্য মাত্রার ছিল। বলকে ছাড়তেন, নিজের সময় নিতেন। বোলারদের ক্লান্ত করে দিতেন, তার পর তাঁদের মাটিতে এনে ফেলতেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় এসব কিছুই দেখা গেল না।'