বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল খেলা। ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন কোহলি নিজেই। গায়ানায় প্রথম ওয়ান ডে-র পরে টিম ইন্ডিয়া অপেক্ষা করেছিল পোর্ট অফ স্পেনের দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে। দ্বিতীয় ওয়ান ডে বৃষ্টি বিঘ্নিত হলেও, ভারতের জয়ে আর থাবা বসাতে পারেনি। এমন অবস্থাতেই প্রথম ওয়ান ডে-র স্মৃতি ফিরে এল। সৌজন্যে বিরাট কোহলি।
প্রথম ওয়ান ডে-র পরে সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি ক্যাপ্টেন কোহলি বিরক্তি প্রকাশ করলেও, মাঠে তাঁকে পাওয়া গিয়েছিল অন্য মেজাজে। শুধু একটা স্টেপ নেচেই ক্ষান্ত হননি। আরও বেশ কিছু মুভমেন্ট দেখা গিয়েছিল কোহলির নাচের স্টেপে। কোহলির নাচ দেখে স্থির থাকতে পারেননি কিং গেইলও। আরসিবি-র জার্সিতে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলা কোহলি-গেইলের নাচের দৃশ্যই গায়ানার মাঠে দর্শকদের বাড়তি বিনোদন জুগিয়েছিল।
আরও পড়ুন
সেই নাচেরই এবার ব্য়াখ্যা দিলেন কোহলি। দ্বিতীয় ওয়ান ডে জয়ের পরে। বিসিসিআই টিভি-তে 'সাংবাদিক' চাহালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি জানিয়ে দিলেন, "ভাল মিউজিক শুনলে বরাবরই মাথা নাড়াতে থাকি। নাচতে ইচ্ছে হয়।" সাধারণত মাঠের বাইরে হালকা মেজাজে পাওয়া গেলেও কচিৎ কোহলিকে মাঠের মধ্যে এই মেজাজে পাওয়া গিয়েছে। কঠিন চোখ মুখ নিয়ে সিরিয়াস কোহলিকে দেখতেই অভ্যস্ত ভারতীয় দর্শকরা। তবে কোহলি জানাচ্ছেন, "মাঠে নিজেকে স্রেফ এনজয় করতে চাই। আমি অধিনায়ক কিনা, তা মোটেই মুখ্য হয়ে ওঠে না। মাঠে নিজের ভাবমূর্তির বিষয়ে স্টিরিওটাইপ কিছু প্রতিষ্ঠিত করতে চাই না।"
পাশাপাশি ক্যাপ্টেন কোহলির সংযোজন, "ঈশ্বর আমাদের দারুণ এক জীবন এবং দেশের হয়ে খেলার সুবিধা উপহার দিয়েছেন। তাই আমার মনে হয়, এই সমস্ত ছোটখাটো মুহূর্ত উপভোগ করা দারুণ প্রয়োজনীয়।"
কোহলির ১২৫ বলে ১২০ রানের দাপটেই ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫৯ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে। কোহলি বলছিলেন, এদিনের ইনিংস দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। "দিনের বেলাতেই বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল। পাশাপাশি পরিস্থিতি বেশ আর্দ্র এবং গরমও ছিল। সত্যি কথা বলতে, ৬৫ রানে পৌঁছনোর পরে আমি বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তবে পরিস্থিতি আমার কাছ থেকে আরও কঠিন পরিশ্রম দাবি করেছিল।" সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, "শিখর ও রোহিত বড় রান পায়নি। আমাদের ব্যাটিং অর্ডারের প্রথম তিনজনের একজন সবসময়েই বড় রান পেয়েছে। একজন সিনিয়রকে এগিয়ে আসতেই হত। এদিন তাই আমার ব্যাট হাতে দাঁড়ানোর সুযোগ এসেছিল।"
Read the full article in ENGLISH