প্রথম টেস্টের পরেই দাবি উঠেছিল পৃথ্বী শ-কে বসিয়ে ওপেনিংয়ে খেলানো হোক শুবমান গিলকে। তবে কোহলি সেই ব্যর্থ পৃথ্বীর পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টেও মায়াঙ্ক আগারওয়ালের সঙ্গে শুরুতে নামছেন পৃথ্বী শ। সেই ইঙ্গিত দিয়েই কোহলি প্রথম টেস্টের পরে বলে দিয়েছিলেন, "আমাদের নিজেদের বসে আলোচনা করে ভুল ভ্রান্তি বের করতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার তুলনায় একজন বিদেশে নতুন ধরনের বোলিং আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তাঁকে বাদ দেওয়া মোটেই উচিত হবে না। আমাদের ভুল আমাদেরই বের করতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে কোনও ভুল চোখে পড়ছে না। ৮-১০টা ইনিংসে ভুল করার পর হলে, সেটা ভেবে দেখা যেত।"
কিউয়ি বোলারদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে সহ অধিনায়ক রাহানে এবং ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালই দুই ইনিংসে সামান্য প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিলেন। বাকিরা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হন। দুই ইনিংসেও ওপেনার পৃথ্বী শ নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছিলেন। কিউয়ি সিমারদের সামনে মোটেই স্বচ্ছন্দ লাগেনি মুম্বই ওপেনারকে। দু ইনিংসে পৃথ্বী-র অবদান ছিল ১৬ ও ১৪।
কোহলি পৃথ্বীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, "কোনও ব্যাটসম্যান একই ভুল কমপক্ষে ৭-৮ বার না করলে তাঁকে বসানো উচিত নয়। নিজের ভুল খুব শীঘ্রই খুঁজে বের করবে পৃথ্বী। ও একজন ন্যাচারাল স্ট্রোক প্লেয়ার। দ্রুত রান তুলতে পারে। তাই রান করার খুব শীঘ্রই নতুন উপায় বের করবে ও।"
সেই সঙ্গে কোহলির আরও সংযোজন, "এমন নয় যে যখন ও রান পায়, তখনও তাড়াতাড়ি আউট হয়ে ফিরে আসে। ও জানে কীভাবে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে হয়। ওকে নিয়ে চিন্তার কোনও কারণই নেই।"
ক্রাইস্টচার্চেও তাই শুবমানকে রিজার্ভেই বসতে হবে। কোহলি পরোক্ষে এই বার্তাই দিলেন।