আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরান হাঁকানোর নিরিখে বিশ্বের তিন নম্বরে। আর তাঁরই কিনা গত দু বছরে একটাও সেঞ্চুরি নেই। কোহলির রান খরা নিয়ে এর আগে একের পর এক বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েই চলেছেন। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন ইরফান পাঠানও।
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড কিংবা নিউজিল্যান্ডের পিচ বরাবর এশিয়ান ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি। কোহলি সেই ট্র্যাডিশন বজায় রেখেই ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে ২০১৮-য় পরের সফরে সেই ব্যর্থতা সুদে আসলে পুষিয়ে নিয়েছিলেন। গোটা সিরিজে ৬০০-র বেশি রান করে যান তারকা। তবে ২০২১ ফের একবার কোহলিকে ২০১৪-র ইংল্যান্ড সফর মনে করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ওভাল টেস্টে একাধিক পরিবর্তন দলে! খোলনলচে বদলাচ্ছে কোহলিদের ব্যাটিং থেকে বোলিং
চলতি সিরিজে কোহলি পাঁচবারই আউট হয়েছেন অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল তাড়া করে স্লিপ অথবা উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ তুলে। অনেকেই বলে দিয়েছেন সুইং সহায়ক পরিবেশে কোহলিও টেকনিক এখনও নির্ভুল নয়। তবে ইরফান পাঠান বলে দিচ্ছেন আক্রমণাত্মক চিন্তাভাবনার খেসারতই দিতে হচ্ছে কোহলিকে।
আকাশ চোপড়ার ইউটিউব চ্যানেলে পাঠান জানিয়ে দিয়েছেন, "আমার মনে হচ্ছে কোহলির দাপট দেখানোর মানসিকতা ওঁর পতন ডেকে আনছে। আক্রমণাত্মক মনোভাবের কারণেই অফস্ট্যাম্পের বল খেলতে যাচ্ছে ও। তবে এটা খুব একটা বড় ইস্যু নয়। টেকনিক্যাল কোনও সমস্যা নয়। ওঁর মানসিকতাতেও ও বারবার আটকে যাচ্ছে।"
আরও পড়ুন: বনগাঁর তনয় এবার টি২০ বিশ্বকাপে! রোহিত-কোহলিদের সামনেই অগ্নিপরীক্ষা দিনমজুরের ছেলের
কিছুদিন আগেও জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন সঞ্জয় বাঙ্গার। তিনি আবার কোহলি ছটফটে মনোভাবকে দুষছেন। বলছেন, "ইংল্যান্ড বোলাররা কোহলির বিরুদ্ধে যেমন ধৈর্য্য দেখিয়েছে, তেমনও ও মোটেও করছে না। ধৈর্য্য হারিয়ে বারবার একই ভুল করে বসছে ও।"
বাঙ্গারের আরও সংযোজন, "ও কিন্তু ডিফেন্স করতে গিয়ে আউট কম-ই হয়েছে। প্রত্যেকবার আউটের সময়েও ও বল তাড়া করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিল। ও ষষ্ঠ এবং সপ্তম স্ট্যাম্পের বল খেলার চেষ্টা করে চলেছে। যে বল খেলার মোটেও দরকার নেই।"
চলতি সিরিজে ফিফটি প্লাস স্কোর করেছেন মাত্র একবার। নিজের ফর্মে ফেরার জন্য বাকি মাত্র চারটে ইনিংস। তাঁর মধ্যেই স্বমহিমায় ফিরতে দেখা যাবে তাঁকে, সময়ই বলবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন