বরাবরই ঠোঁটকাটা বলে পরিচিত। এই কারণে বারেবারেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বীরেন্দ্র শেওয়াগ। সেই বীরুই এবার ফের শিরোনামে কোহলি-ধোনির মধ্যে তুলনা করে। এক সাক্ষাৎকারে শেওয়াগ সাফ জানিয়ে দিলেন, "ধোনির সময়ে টিম ইন্ডিয়ায় অনেক স্বচ্ছতা ছিল। কোন ক্রিকেটার কত নম্বরে ব্যাট করতে নামবে নিয়ে খোলামেলা আলোচনা ছিল। ধোনির প্রতিভা চেনার বিরল ক্ষমতা ছিল, যাঁরা ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।"
টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে মিউজিক-চেয়ার চলছে। কখনও কোহলি নিজে চার নম্বরে ব্যাটিং করে তিন ওপেনারকে শুরুতে জায়গা করে দিচ্ছেন। পরে আবার কোহলি তিনে এসে কেএল রাহুলকে পাঁচ নম্বরে পাঠাচ্ছেন। সিরিজ জয়ের ম্যাচেও ওপেনিং কম্বিনেশন বদলে গিয়েছে ধাওয়ান চোট পেয়ে বসায়।
তবে কেএল রাহুলকে ফের একবার বাদ পড়তে হবে, এমন আশঙ্কা করেছেন শেওয়াগ নিজেই। ক্রিকবাজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিধ্বংসী এই ওপেনার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, "যদি রাহুল পাঁচ নম্বর পজিশনে ফের ব্যর্থ হয়, তাহলে টিম ম্যানেজমেন্ট ফের একবার ওর জায়গা বদলে দেবে।"
এরপরেই ধোনির বিষয়ে তিনি বলেছেন, "ধোনির সময় কিন্তু এরকম হত না। ধোনি সবসময় জানত, কোন ব্যাটসম্যানকে কোন পজিশনে ব্যাক করতে হবে। নিজে এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে বলে ধোনি বাস্তবটা উপলব্ধি করতে পারত।"
ক্যাপ্টেন কীভাবে প্রথম একাদশে সদর্থক ভূমিকা নিতে পারে, সেই বিষয়ে বীরু খুল্লমখুল্লা জানাচ্ছেন, "সীমিত ওভারের ক্রিকেটে টপ অর্ডার সবসময়ে অধিনায়কের আস্থা পায়। তবে মিডল অর্ডারে যাঁরা ব্যাটিং করেন, তাঁদেরও ক্যাপ্টেনের ভরসা প্রয়োজন। যদি কাউকে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া হয়, তাহলে সে কীকরে বড় ক্রিকেটার হবে? আমিও ওপেনার হিসেবে খেলার আগে মিডল অর্ডারে ব্যাট করে অনেক ভুল করেছি। আমার ভুলে দল হেরে গিয়েছে, এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে কোনও ক্রিকেটার বড় হতে পারে না। ক্রিকেটারদের সময় দেওয়া প্রয়োজন।"
রোহিত কীভাবে বড় রানের ইনিংস খেলে, সেই ব্যাখ্য়া নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, "রোহিতের মতো বড়মাপের কোনও ব্যাটসম্যান যখন ৪-৫টা খারাপ ইনিংস খেলে তখন ও ভাবে পরের ইনিংসেই নিজের জাত চেনাব। এটাই রোহিত করছে। আমিও যখন বেশ কয়েকটা খারাপ ইনিংস খেলতাম, তখনই আমিও এভাবে ভাবতাম।"