ভারতীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সৌরভের থেকে যোগ্য আর কেউ হতে পারে না। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বীরেন্দ্র শেওয়াগ। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তারপরে এখন ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের মসনদে। প্রাক্তন সতীর্থ বোর্ড সভাপতি হওয়ার পরে শেওয়াগ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "এটা জেনে খুব ভাল লাগছে যে সৌরভ তৃণমূল স্তর থেকে কাজ শুরু করে দিতে চাইছে। সভাপতি হওয়ার পরেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতির কথা বলেছে সৌরভ। সভাপতি হওয়ার জন্য় সৌরভই যোগ্যতম। ও তৃণমূল স্তরের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে সৌরভ গোটা দেশ জুড়ে ক্রিকেট খেলে বেরিয়েছিল। মনে রয়েছে, জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পরে সৌরভ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিল, ঘরোয়া ক্রিকেট কোথায় কোথায় পিছিয়ে রয়েছে।"
সৌরভ অধিনায়ক হওয়ার পরে সম্ভবনাময় ক্রিকেটারদের তুলে এনেছিলেন। তবে কেবলমাত্র ক্রিকেটার তুলে আনাই নয়, তাঁদের সামনে চলার রাস্তা দেখিয়ে দেওয়ার জন্যও অধিনায়কের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এখানেই সৌরভ বাকিদের থেকে এগিয়ে। শেওয়াগ জানিয়েছেন, "ও ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস জোগায় এতটাই যে সেই ক্রিকেটার হয়তো ভুলেই যায়, আগের দশ ইনিংসে পুরোপুরি ফ্লপ করেছে। হঠাৎ করেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে সেই ক্রিকেটার দারুণ পারফর্ম করতে শুরু করে। সেই ক্রিকেটার দেশের জন্য একশো শতাংশ উজাড় করে দেয়। এটাই নেতা হিসেবে দাদা-র সবথেকে বড় শক্তি।"
সমালোচকরা যদিও ভারতীয় ক্রিকেটের ভোলবদলের সমস্ত কৃতিত্ব সৌরভকে দিতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, সৌরভ এমন একটা দল পেয়েছিল, যাঁরা জানত কোন পরিস্থিতিতে কেমনভাবে পারফর্ম করতে হয়। যদিও শেওয়াগ এমন সমালোচনায় পাত্তা দিতে নারাজ। তিনি সাফ জানাচ্ছেন, "দাদা একজন শার্প ক্যাপ্টেন। অধিনায়কত্বের সময়ে সবসময়ে সহজাত প্রবৃত্তিকে মান্যতা দিত। অধিকাংশ সময়েই দলের বাকিদের পরামর্শ নিত। তবে নিজে যেটা সঠিক মনে করত, সেই সিদ্ধান্তই নিত।"
শেওয়াগের আরও সংযোজন, "ও হয়তো দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের- জাহির খান, আমি হরভজন সিংদের প্রতিপক্ষ এবং কন্ডিশন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করত। আমাদের ছয়-সাত রকমের মতামত জমা পড়ার পরে ও হয়তো তার মধ্যে একটা মতামত কিংবা সম্পূর্ণ নিজস্ব মত যেটা বাকিদের থেকে আলাদা তা প্রয়োগ করত। এটা নেতৃত্ব দেওয়ার স্বভাবজাত প্রবণতা।"
Read the full article in ENGLISH