ত্রিনিদাদের পোর্ট অফ স্পেনে ডার্কওয়ার্থ লুইস নিয়মে দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ জিতেছে ভারত। বিশ্বকাপের পরে এটাই ছিল ভারতের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচ। আগের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পরে 'নতুন' ভারতীয় দল পারফরম্যান্সের সৌজন্যে সসম্মানে উত্তীর্ণ। ক্যাপ্টেন কোহলি দলের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি। সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন এই কথা। তবে ভারতের জয়ে টার্নিং ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ৩৫তম ওভার। যে সময় বোলিং করছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ২৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল। নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের জন্য ঠিক পথেই এগোচ্ছিল। ৩৫তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার আক্রমণে আসার আগে পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ১২ ওভারে টার্গেট ছিল ৯১। ক্রিজে ব্যাটিং করছিলেন রস্টন চেজ এবং নিকোলাস পুরান। তবে সেই ওভারে দুই জনকেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন ভুবি।
আরও পড়ুন
আমার মতো কোনও সিনিয়রকে এগিয়ে আসতেই হত, বলছেন কোহলি
লারাকে সরিয়ে এখন সাম্রাজ্য় গেইলের, ক্য়ারিবিয়ান দৈত্য়কে কুর্নিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
কোহলির সেঞ্চুরি আর ভুবির চারে দুরন্ত জয় ভারতের
প্রথমে আউট হন পুরান। মিস টাইমিংয়ে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন উঠতি ক্যারিবিয়ান তারকা। আর ঠিক তার তিন বল পরেই ভুবির সৌজন্যে সাজঘরে চেজ। লেগ স্ট্যাম্পের বল ঠেলতে গিয়ে সোজা বোলিং প্রান্তে ক্যাচ তুলে দেন রস্টন চেজ। আর অস্বাভাবিক ক্ষিপ্রতায় ফলো আপে ক্যাচ তালুবন্দি করেন ভুবি। হঠাৎ করেই দু-জন সেট ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরতেই সমস্যায় পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ধরাছোঁয়ার মধ্যে থাকা টার্গেটই কার্যত বিশাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ক্যারিবিয়ানদের সামনে।
হঠাৎ করে আসা চাপে তারপরে আত্মসমর্পণ করে বসেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। ৩৭তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ লক্ষ্যমাত্রার ৫৯ রান আগেই গুটিয়ে যায়।
Read the article in ENGLISH