Who is Lalengmawia Ralte 'Apuia'?: তাঁর এক গোলেই মোহন জনতার নয়নের মণি হয়ে গিয়েছেন আপুইয়া (Apuia)। সোমবার যুবভারতীর রং সবুজ-মেরুন হওয়ার কারণ ছিল তাঁর চোখধাঁধানো বিশ্বমানের গোল। ৯৪ মিনিটে তাঁর সেই গোলেই জামশেদপুরকে হারিয়ে আইএসএল কাপের ফাইনালে (ISL 2024-25) ওঠে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস (Mohun Bagan Super Giants)। তাঁর জাদু গোলে টানা তিনবার কাপ ফাইনালে উঠে চলতি মরশুমে দ্বিমুকুট জয়ের স্বপ্নে বুঁদ সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
আপুইয়ার উত্থানের কাহিনিও তাঁর ম্যাজিক গোলের মতো। পুরো নাম লালেংমাওয়াইয়া রালতে। মিজোরামের আইজল থেকে তাঁর ফুটবল শুরু। খেলার পাশাপাশি মাংস বিক্রেতা বাবাকে সাহায্য করতেন তরুণ ফুটবলার। তার সঙ্গে চালাতেন পড়াশোনাও। বাবার কড়া নির্দেশ ছিল, পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়া চলবে না। বাবার স্বপ্নপূরণ করতেই ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলের ট্রায়ালে অংশ নেননি আপুইয়া। তখন ক্লাস টেনে পড়তেন তিনি। আর সামনেই ছিল বোর্ড পরীক্ষা।
পড়াশোনায় কখনও অবহেলা করেননি আপুইয়া। ২০২৪ সালে বিশ্বকাপ এবং এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কুয়েতের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের জন্য তৎকালীন কোচ ইগর স্টিম্যাচ ৪১ জনের ভারতীয় দল ঘোষণা করেছিলেন। তাতে নাম ছিল আপুইয়ার। কিন্তু এমন সুযোগ পেয়েও ফেডারেশনের কাছে অব্যাহতি চেয়েছিলেন মিজো ফুটবলার। তার কারণ ভারতীয় দলে যোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে পারতেন না তিনি। সেই কারণে কোচ এবং ফেডারেশনের কাছে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন 'বদলা নিয়েছি...', মোহনবাগান ফাইনালে উঠতেই হুঙ্কার শুভাশিসের
মোহনবাগানে আসার পর থেকে মাঝমাঠের বড় স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন তিনি। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রথম লেগে আপুইয়া খেলতে পারেননি গোড়ালিতে চোটের কারণে। সেই ম্যাচে বাগান হারে ১-২ গোলে। সেদিন আপুইয়ার অনুপস্থিতি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন মলিনা। দ্বিতীয় লেগেও খেলতে পারবেন কি না সন্দেহ ছিল। কিন্তু দলের জন্য চোট উপেক্ষা করে তিনি মাঠে নামেন। সেদিন মাঝমাঠকে পুরো ৯০ মিনিট সচলই রাখেননি, জয়সূচক গোল করে বাগানকে কাপ ফাইনালে তুলেছেন আপুইয়া।
আরও পড়ুন কোন মাঠে মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু ISL Cup ফাইনাল? কোন নিয়মে বাছা হল এই স্টেডিয়াম?
মজার বিষয়, গত মরশুমে মুম্বই সিটি এফসি-তে খেলতেন আপুইয়া। আর সেবার মুম্বইয়ের কাছে হেরেই কাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় কামিসং-পেত্রোতোসদের। মুম্বইয়ের সেই জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন আপুইয়া। এবার তিনি মোহনবাগানের বড় ভরসা। এবার দেখার শনিবারের ফাইনালে তিনি সুনীলদের হারিয়ে মোহনবাগানকে দ্বিমুকুট দিতে পারেন কি না!