Mohun Bagan Super Giant: বাঙালির কাছে আবেগ মানেই ফুটবল। আর বাঙালির ফুটবল মানেই ঘটি-বাঙালের লড়াই। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল। বছরের পর বছর ধরে একাধিক বিদেশি ফুটবলার এই দুটো ক্লাবের হয়ে খেলে গিয়েছেন। কিন্তু, এমন ফুটবলার খুব কমই রয়েছেন. যাঁরা চিরকালের জন্য সমর্থকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আর সেই তালিকায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তারকা ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitri Petratos) যে অবলীলায় রাজত্ব করবেন, তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে।
এতক্ষণে আপনাদের নিশ্চয়ই আর বোঝানোর দরকার নেই, ছবিতে যে শিশুকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, তিনি আসলে দিমিত্রি পেত্রাতোস। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটা ভাইরাল হয়েছে। আর সবুজ-মেরুন সমর্থকরা 'ছোট্ট' দিমিকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।
Mohun Bagan Super Giant: ঘরের ছেলে ফিরছে ঘরে, আনন্দে আত্মহারা মোহনবাগান সমর্থকরা
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০২২ সালের ১৮ জুলাই পেত্রাতোস ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ক্লাব মোহনবাগানে যোগ দেন। ওই বছরই ১০ অক্টোবর চেন্নাইন এফসি'র বিরুদ্ধে তিনি ডেবিউ করেছিলেন। অভিষেক ম্য়াচেই মনবীর সিংকে একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন। তবে দ্বিতীয় ম্য়াাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়ে দেন দিমি। দুরন্ত হ্যাটট্রিক করে মেরিনার্সদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নেন।
Dimitrios Petratos: একেবারে নিখাদ ভালোবাসা, প্রিয় মোহনবাগানের জন্য এই কাজটাই করলেন পেত্রাতোস
মরশুম যত সামনের দিকে এগিয়েছে, পেত্রাতোস ততই মোহনবাগানের 'অমূল্য সম্পদ' হয়ে উঠেছেন। ওই বছর আইএসএল ফাইনালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ফাইনাল ম্য়াচের লড়াই পেনাল্টি শ্যুটআউট পর্যন্ত গড়ায়। এরপর দিমির গোলে শেষপর্যন্ত জয়লাভ করেছিল এটিকে মোহনবাগান। প্রসঙ্গত, অভিষেক মরশুমে পেত্রাতোস ২৩ ম্য়াচে ১২ গোল করেছিলেন। এছাড়া সাতটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন।
Dimitri Petratos: অবশেষে জল্পনার অবসান! পরের মরশুমেও মোহনবাগানে থাকছেন এই বিদেশি তারকা
২০২৩ সালে ডুরান্ড কাপ ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। ফাইনাল ম্য়াচে অনবদ্য একটি গোল করে তিনি মেরিনার্সদের জয় নিশ্চিত করেছিলেন। সেইসময় ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ ছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ২০২৩-২৪ ইন্ডিয়ান সুপার লিগেও নজরকাড়া পারফরম্য়ান্স করেন পেত্রাতোস। সোনার বল জেতার পাশাপাশি হাতে তুলেছিলেন আইএসএল লিগ শিল্ডও। আর ২০২৪-২৫ মরশুমে তো শিল্ড এবং ট্রফি দুটোই পকেটে পুরে নেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী মরশুমেও বাগান সমর্থকদের মনের মণিকোঠায় তিনি ধ্রুবতারার মতো উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।