হাতে আর কয়েক'টা দিন। তারপরেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আগামী ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স চাক্ষুস করবে ভারতের প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের প্রথম বৈঠকের পরেই ঠিক হয়ে যায় যে, ভারতে লেখা হবে দিন-রাতের টেস্ট ইতিহাস।
রবিবার কলকাতায় একটি প্রমোশনল ইভেন্টে হাজির ছিলেন সৌরভ। তিনি সেখানেই জানালেন যে, মাত্র তিন সেকেন্ডের মধ্য়েই কোহলি ডে-নাইট টেস্টের খেলার জন্য় রাজি হয়ে যান। সৌরভ বলছেন, “আমি জানি না কেন আগে ভারত অতীতেত অ্যাডিলেডে ডে-নাইট টেস্ট খেলতে চায়নি! আমি বিরাটের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেছিলাম। আমি ওকে বলেছিলাম যে, আমাদের দিন-রাতের টেস্ট খেলতে হবে। আর বিরাট তিন সেকেন্ডের মধ্য়ে রাজি হয়ে যায়। ও বলে হ্য়াঁ, এগিয়ে যাই আমরা, এটা করা হোক। সত্য়িই আমি জানি না অতীতে কেন এরকম হয়নি। কারাই বা এরসঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু আমি কোহলিকে দেখলাম ও খেলতে কতটা আগ্রহী। ও বুঝেছে যে টেস্টে ফাঁকা স্ট্য়ান্ড নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায় না।"
আরও পড়ুন-ক্রীড়ানক্ষত্ররা এবার এক ছাদের তলায়, দিন-রাতের টেস্টে ইডেনে বসছে চাঁদের হাট
গত শীতে ভারত যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল তখন বিসিসিআই অ্যাডিলেড ওভালে ডে-নাইট টেস্টের সম্মতি জানায়নি। ওই ভেন্যুতে শেষ তিন মরসুম টানা গোলাপি বলের টেস্ট হয়েছে। ভারতীয় বোর্ড প্রায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে জোর করেই দিনের টেস্টের জন্য় বলেছিল। আইসিসি নিয়ম অনুসারে সফররত দেশের অনুমোদন পেলেই ডে-নাইট টেস্ট খেলা সম্ভব। নয়তো নয়। এর আগে রাজকোটেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ভারতের ডে-নাইট টেস্টের কথা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও হয়নি।
ভবিষ্য়তে টেস্ট নিয়ে সৌরভের পরিকল্পনাও খুব স্বচ্ছ। তাঁর সংযোজন, “এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটকে আরও ভাল ভাবে মার্কেটিং করতে হবে। আমি এটা মেনে নিতে পারিনি যে, অস্ট্রেলিয়া ভারতের সঙ্গে অ্যাডিলেডে টেস্টের আয়োজন করেছে, আর একই সঙ্গে দেশের অন্য় প্রান্তে বিগ ব্য়াশ লিগ চলছে। এটা সঠিক পরিচালনা নয়। টি-২০ ক্রিকেটে অনেক দর্শক আসে। যেমন আইপিএল। আমার মনে হয় সঠিক ম্য়ানজমেন্ট থাকলে ফের টেস্ট ক্রিকেট আগের জায়গায় ফিরবে। আমি আশা করব ইডেনই ভারতে দিন-রাতের টেস্টের পথ দেখাবে। সারা বিশ্ব এখানে খেলবে। ফ্য়ানেদের ভালবাসাতেই টেস্ট ফিরবে নিজের জায়গায়।“
আরও পড়ুন-মোহনবাগান-ভবানীপুর ম্য়াচে খেলেছিলেন গোলাপি বলে, দিন-রাতের টেস্টের দিকে তাকিয়ে ঋদ্ধি-শামি
Read full story in English