জুনের ইংল্যান্ডে কীভাবে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা আয়োজন করল আইসিসি, তা নিয়ে আগেই বিতর্কের মুখে পড়েছিল আইসিসি। এবার ইংল্যান্ডে ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ খেলা আয়োজন করা নিয়ে মুখ খুললেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা কেভিন পিটারসেন। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, খেতাব নির্ণায়ক একটি খেলা কখনই ইংল্যান্ডে আয়োজন করা উচিত নয়।
সোমবার চতুর্থ দিনের খেলা পুরোপুরি বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেই আইসিসিকে একহাত নিয়ে তারকা ব্যাটসম্যান টুইট করেছেন, "এটা বলতেও খারাপ লাগছে। তবে একটা মাত্র ফল নির্ধারক ম্যাচ ইউকে-তে কখনো আয়োজন করা উচিত নয়।" এরকম মেগা ফাইনাল কোথায় আয়োজন করা উচিত তা-ও জানিয়েছেন কেপি। বলেছেন, "যদি আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম, তাহলে দুবাইয়ে এরকম ফাইনাল ম্যাচ ফেলতাম। নিরপেক্ষ ভেন্যু, দুর্দান্ত স্টেডিয়াম, আবহাওয়া নিয়েও নিশ্চিন্তি। দুর্দান্ত ট্রেনিং ব্যবস্থা এবং যাতায়াতও সহজ। আর মাঠের পরেই আইসিসি হোম।"
আইসিসিকে একহাত নিয়েছেন বীরেন্দ্র শেওয়াগও। শ্লেষাত্মকভাবে লিখেছেন, "ব্যাটসম্যান আর আইসিসি- দুজনেই টাইমিং করতে পারল না!"
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মেগা ফাইনাল বৃষ্টিতেই ধুয়ে গেল! প্রথম দিনের পর চতুর্থ দিনেও বল গড়াল না মাঠে। ফলে ইন্দো-কিউয়ি দ্বৈরথ যে অমীমাংসিত থাকতে চলেছে, তা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল সোমবারই।
আরো পড়ুন: ল্যাথামকে উত্যক্ত করে শিরোনামে কোহলি! ভিডিওয় ধরা পড়ল বিরাট ‘কুকীর্তি’, দেখুন
সবমিলিয়ে চার দিনে মাত্র ১৪১.১ ওভার খেলা সম্ভব হল। ম্যাচে এখনো পর্যন্ত এডভান্টেজ নিউজিল্যান্ডই। ভারতকে মাত্র ২১৭ রানে অলআউট কর দিয়ে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলেছে ১০১ রান। পিছিয়ে মাত্র ১১৬ রানে। তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেলর।
প্রথম দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরে আইসিসি আশাবাদী ছিল রিজার্ভ ডে মিলিয়ে খেলার ফয়সালা হয়ে যাবে। আইসিসি আগেই জানিয়ে রেখেছিল পাঁচদিনের মধ্যে খেলার ফলাফল না বেরোলে ষষ্ঠ দিন রিজার্ভ ডে-তে খেলা গড়াবে।
তবে চতুর্থদিনও একইভাবে খেলা ভেস্তে যাওয়ায় ফাইনাল নিয়ে কার্যত ফলের আশা করছে না কোনোপক্ষই। দ্বিতীয় দিনে বাধা বিঘ্ন নিয়েও ৬৪.৪ বল খেলা সম্ভব হয়। তাও মন্দ আলোর জন্য তাড়াতাড়ি খেলা শেষ করে দিতে হয়। তৃতীয় দিন দেরিতে খেলা শুরু হয়ে খারাপ আলোর জন্য আগেভাগে খেলা গুটিয়ে দিতে হয়। তবে দু-দলের প্রথম ইনিংসই এখনো শেষ হয়নি। পঞ্চম দিন এবং রিজার্ভ ডে মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।
আইসিসি আগেই জানিয়ে দিয়েছিল খেলা ড্র অথবা অমীমাংসিত থাকলে পুরস্কার অর্থ এবং চ্যাম্পিয়নশিপের স্মারক দুই দল ভাগাভাগি করে নেবে। ঐতিহাসিক এই ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রানার্স আপ দল পাবে ৮ লক্ষ মার্কিন ডলার। আর ড্র হলে দুই দলই পাবে ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন