AC Temperature: রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র গরমের দাপট। দিনে দিনে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। এই অবস্থায় অনেকেই বাড়িতে এসি চালিয়ে স্বস্তির পথ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু ঠিক কত ডিগ্রিতে এসি চালালে তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে কমবে বিদ্যুৎ বিল।—সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপার খাচ্ছে অনেকের মনে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মে থেকে জুলাই—এই সময়টায় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৪০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলে। এসিই একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে তীব্র গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। তবে অনেকেই না বুঝেই এসির তাপমাত্রা খুব কম সেট করে ফেলেন, যার ফলে বাড়ে বিদ্যুৎ বিল এবং কমে এসির আয়ু।
কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালাবেন এসি?
বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, এসির আদর্শ তাপমাত্রা হওয়া উচিত ২২ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যদি বাইরে প্রচণ্ড গরম থাকে (যেমন ৪৫ ডিগ্রি), আর ঘরের ভিতরে তাপমাত্রা হয় ৩২ ডিগ্রি, তাহলে এসির তাপমাত্রা সেট করা উচিত অন্তত ২৩-২৪ ডিগ্রিতে—অর্থাৎ ঘরের তাপমাত্রার চেয়ে ৮-৯ ডিগ্রি কমে এসি চালানো উচিত বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই ব্যবধান বজায় রাখলে দ্রুত শীতলতা যেমন মিলবে, তেমনই বিদ্যুৎ খরচও কম হবে।
এক ডিগ্রি কমালে কতটা বাড়ে বিল?
গবেষণা বলছে, এসির তাপমাত্রা প্রতি ১ ডিগ্রি কমালে বিদ্যুৎ খরচ প্রায় ৫-১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ফলে ২০ বা ২১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালানো যতই আরামদায়ক মনে হোক, সেটি দীর্ঘমেয়াদে খরচসাধ্য হয়ে উঠতে পারে।
গ্রীষ্মে, এসিই একমাত্র গ্যাজেট যা গরমের হাত থেকে স্বস্তি প্রদান করে। কিন্তু বাড়তি বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চিন্তিত সকলেই। কিন্তু, আপনি কি জানেন যে মাত্র একটি ছোট বদলেই আপনার বিদ্যুৎ বিলের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে? হ্যাঁ, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এসি ২৭ ডিগ্রিতে সেট করলে কেবল শীতলতা বজায় থাকে না বরং বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যদি বাড়ির এসির তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রিতে সেট করা হয়, তাহলে বিদ্যুৎ খরচ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এর পেছনের কারণ হল, প্রতি ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে, এসির শক্তি খরচ ৬% পর্যন্ত কমে যায়। একই সময়ে, ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালালে কম্প্রেসারের উপর বেশি চাপ পড়ে, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায় এবং বিলও বেশি হয়।
পাশাপাশি এসির সাথে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করলে ঘর ঠান্ডা থাকে। বিদ্যুৎও সাশ্রয় হয়। এসির তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রিতে সেট করুন, টাইমার ২ ঘন্টার জন্য সেট করুন এবং কম স্পীডে সিলিং ফ্যান চালান। এতে ঘরের বাতাস ঠান্ডা থাকবে এবং বিদ্যুৎ বিলও কমবে। এই ছোট্ট পরিবর্তনটি অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে।