দিন কয়েক আগে হোয়াটসঅ্যাপ কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিল ভারতবাসীকে শিক্ষা দিন, পরিকাঠামোগত সম্পূর্ণ বদল করা সম্ভব নয়। এই গুরু দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধেই নিয়ে নিলেন হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি , যে খবর শেয়ার করছেন , তা কতটা সঠিক তথ্য তার প্রতি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হোয়াটসঅ্যাপ চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দিল্লির ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। কয়েকদিন আগে ভুয়ো খবরের জেরে ভারতে গণপ্রহার থেকে শুরু করে দাঙ্গা হাঙ্গামা বেঁধে গিয়েছিল। তার পর থেকেই নরেচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিঠি মারফত বারংবার করে হোয়াটসঅ্যাপকে তার পরিকাঠামোর ভোল বদল করার নির্দেশ দেন। এবং পাশাপাশি ভারত থেকে হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছে বর্তমান সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।
আরও পড়ুন: ফোন ক্যামেরাকে ডিএসএলআর বলে চালানোর চেষ্টা হুয়াওয়ের
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগেই দিল্লির ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন ১০ রাজ্য জুড়ে ৪০ টি ট্রেনিং দেওয়ার কথা জানিয়েছে। যে সব জায়গায় এরআগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার কারণে ডামাডোল বেঁধে গিয়েছিল, সেই সব জায়গার মানুষকেও শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে শুধু যে এই দাঙ্গা হাঙ্গামার পিছনে আমজনতাই দায়ি নয়, সে টের পেয়েছে এই মেসেজিং সংস্থা। তাই ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট ফাউন্ডেশন সংগঠনের নেতা, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মচারী,প্রশাসন প্রতিনিধিদেরও সচেতনতা সম্পর্কে অবগত করার দায়িত্ব নেবে। সাতটি রাজ্যের প্রায় ৩০,০০০ নিচু স্তরের মানুষদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এ বিষয়ে।
"যেসব গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করতে চায়, তাদের নিরাপত্তা ও জাল খবর চিনে নিয়ে এবং এড়িয়ে গিয়ে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁদের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌছানো হবে, সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ওসামা মানজার। পাবলিক পলিসি ম্যানেজার বেন সাপেল জানায়, আমাদের লক্ষ্য, ফেক নিউজের গঠনবৈচিত্র নিয়ে সচেতন করা, যাতে তারা সহজেই জাল এবং আসল খবরের ফারাক চিনে উঠতে পারে ভবিষ্যতে। ভারতকে 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া' তকমা দিতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের অপরিহার্য ভুমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন :নতুন গ্রাহকদের ফেস রেকগনিশন পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ আধার কর্তৃপক্ষের
তবে হোয়াটসঅ্যাপ যে একাবারেই তাদের রীতি পদ্ধতি বদলায়নি এমনটা নয়। মেসেজ ফরওয়ার্ডে লাগাম টেনেছে তারা। ভারতে ৫টির বেশি মেসেজ ফরওয়ার্ড করা যাবে না। তাও মেসেজ ফরওয়ার্ড লেবেল সহ অন্যজনের কাছে পৌছাবে। গত কয়েক মাস ধরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জাল খবর ছড়িয়ে পড়তে কাঠগোড়ায় দাড় করানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। এমনকি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা ও সংঘর্ষের ঘটনাকেও উস্কে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এমনই অভিযোগের পাহাড় গড়ে তুলেছে কেন্দ্র।