টেলিকম সংস্থায় চলছে মন্দার বাজার। যে কারণে বাড়াতে হচ্ছে রিচার্জের খরচ। তার ওপর আবার এয়ারটেল থেকে চলে গেলে প্রায় ৩০ লাখ কাস্টমার। ইন্টারনেট পরিষেবা নেই জম্মু কাশ্মীরে। শুধু মাত্র চালু রয়েছে পোস্ট পেইড লাইন ও ল্যান্ড লাইন। যে কারণে কাস্টমার হারিয়েছে এয়ারটেল ভারতী। তবে শুধু এয়ারটেল নয়, এই এক সমস্যা হয়েছে ভোডাফোন আইডিয়ারও।
গত সপ্তাহের বুধবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তবে অন্য পরিষেবা যেমন ল্যান্ডলাইন টেলিফোন এবং মোবাইল ফোন জম্মু ও কাশ্মীরে চালু রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে'। তাঁর দাবি, "কাশ্মীরে এখনও পাকিস্তানের হাত থেকে সম্পুর্ণ সুরক্ষিত নয়। কাজেই, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে যখনই স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এটিকে উপযুক্ত মনে করবে তখনই নেটওয়ার্ক পুরোপুরি ভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে'।
আরও পড়ুন: দাম বাড়াতে পারে জিও, এয়ারটেল ভোডাফোনের পথেই মুকেশ আম্বানির সংস্থা
এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মন্দা দশায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এয়ারটেল। আইসিআইসিআই সিকিউরিটি রিপোর্টে উল্লেখ আছে, জম্মু ও কাশ্মীরে নেটওয়ার্ক পরিষেবা বন্ধ থাকায়, ভারতী এয়ারটেল থেকে ২৫ থেক ৩০ লাখ কাস্টমার চলে গেছে। জম্মু কাশ্মীর থেকে যে লাভ এয়ারটেল করত তা দীর্ঘ তিন মাসে প্রায় শূন্য।
আরও পড়ুন: মোবাইলের খরচ বাড়ছে বহুগুন, ডিসেম্বর থেকেই অনেকটা দাম বাড়ছে সব রিচার্জ প্যাকেরই
এই সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে ভোডাফোন আইডিয়া জানিয়েছেন, তিন মাসে ৮৯ লাখ গ্রাহক হারিয়েছে তারা। ফলস্বরূপ ৩২ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে সংস্থার।